বিশ্ব থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৪২টি দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন দেশে একের পর এক আঘাত হানছে হ্যারিকেন ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই পরিবর্তন মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে বিশ্ব থেকে হারিয়ে যাবে ৪২টি ছোট দেশ। এজন্য জাতিসংঘের আসন্ন সম্মেলনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন কমনওয়েলথের মহাসচিব ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড।
সাক্ষাৎকারে ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্তিত্বের হুমকিতে রয়েছে বিশ্বের ৪২টি ছোট দেশ। আমাদের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে- এমন কিছুই হবে না। তবে ছোট ছোট এই দেশগুলো হারিয়ে যাবে।’
ডোমিনিকা বংশোদ্ভূত আইনজীবী ও সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া এখন কমনওয়েলথ জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটি মূলত সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত দেশগুলোর জোট। ইতালির রাজধানী রোম সফরের সময় জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে তিনি একথা বলেন। সফরে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ দেশ টুভ্যালু ও নাউরুর মতো কমনওয়েলথের ছোট ছোট সদস্য রাষ্ট্রগুলো এখন নতুন কোনো জায়গায় যাওয়ার কথা ভাবছে। কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং এটি এখন খুবই বিপজ্জনক।
এছাড়া নিজের দেশসহ বিভিন্ন দেশে একের পর এক হ্যারিকেন ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।
ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘ডমিনিকাকে দেখতে সাধারণত গার্ডেন অব ইডেনের মতো মনে হয়। তবে ২০১৭ সালে হ্যারিকেন মারিয়া আঘাত হানার পর সেখানকার অনেক গাছের বাকল পর্যন্ত উঠে যায়, সেসব গাছে একটি সবুজ পাতাও অবশিষ্ট ছিল না। সেটিকে এখন একটি রণক্ষেত্র বলে মনে হয়।’
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কার্বনের ব্যবহার রোধ করা এবং বিপর্যয়কর বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে বিশ্বকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি বা সমঝোতায় পৌঁছানোই এই সম্মেলনের লক্ষ্য।
গ্লাসগোর এই জলবায়ু সম্মেলনের সাফল্যের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা কতটা কাজ করবে। সম্মেলনে কী হয় তার ওপর আগামী দিনগুলোতে সারা বিশ্বের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে বড় রকমের পরিবর্তন আসতে পারে।
সম্মেলনের সময় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ গ্লাসগোতে হাজির হতে পারেন, যাদের মধ্যে থাকবেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, মীমাংসাকারী এবং সাংবাদিক। হাজার হাজার অ্যাক্টিভিস্ট এবং বহু ব্যবসায়ীও সেখানে উপস্থিত হবেন। রেবেলিয়ান এক্সটিংশনের মত কট্টর পরিবেশবাদী গোষ্ঠী এখনই জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো বন্ধ করার দাবি করছে।
সম্মেলনের শেষে, একটি সর্বসম্মত ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে সুনির্দিষ্ট সব অঙ্গীকার লিখিত থাকবে এবং সব দেশকে সেই ঘোষণায় স্বাক্ষর করতে হবে।
ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়ার ভাষায়, ‘আমরা সবাই একই ঝড়ের মধ্যে আছি। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই আমরা সবাই একই নৌকায় নেই।’
- সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ১১ হাজার
- করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি জার্মান কামান উদ্ধার কানাডায়
- সোনিয়া গান্ধীর হাতেই থাকছে কংগ্রেসের নেতৃত্ব
- করোনার কারণে আত্মগোপনে কিম
- দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের রহস্য কী
- বুর্জ খলিফা হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় দানবাক্স!
- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব শুরু আজ থেকেই
- ভারতে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পঙ্গপালের ঝাঁক, সতর্কতা জারি
- যুক্তরাজ্যে ঈদ: মহামারি পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসীর নিরাপত্তা চেয়ে দোয়া