ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিএনপির মহাসচিব পদে আসতে রিজভীর যত ষড়যন্ত্র

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৩, ১৬ জানুয়ারি ২০২১  

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে মির্জা ফখরুলকে সরিয়ে মহাসচিব হয়ে পছন্দ মতো স্থায়ী কমিটি গঠন করতে গোপনে কাজ করছেন রিজভী আহমেদ। সেই পরিক্রমায় গোপনে ৬৪টি জেলা কমিটির সদস্যদের কাছে নতুন কমিটি গঠন সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন রিজভী। উক্ত চিঠিতে স্থায়ী কমিটি গঠন করার জন্য গণস্বাক্ষর অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রিজভী। গণস্বাক্ষর সম্বলিত কাগজটি লন্ডনে পাঠানো হবে বলেও জানা গেছে। বিএনপির একাধিক সংস্কারপন্থী দায়িত্বশীল নেতাদের সূত্রের বরাতে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিএনপির নয়াপল্টন পার্টি অফিসের সংস্কারপন্থী একটি সূত্র বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় এবং এরপরও কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারা, সঙ্গে এক বছর ধরে বিএনপির এমন নিথর অবস্থার জন্য বিএনপির মহাসচিব এবং অন্যান্য স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দায়ী মনে করেন রিজভী আহমেদ। তার মতে, মির্জা ফখরুল, মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসের মতো নেতারা দীর্ঘ সময় একই পদে থাকায় দলের দায়-দায়িত্বে অবহেলা দেখাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে পছন্দ মতো লোক বসিয়ে বিএনপিকে অথর্ব দলে পরিণত করেছেন তারা। পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে অযোগ্য ও অপরীক্ষিত নেতাদের মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপিকে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে বলেও মনে করেন রিজভী আহমেদ। এছাড়া মির্জা ফখরুলরা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপিকে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজপথ থেকে দূরে রেখেছেন। বিনিময়ে মামলা, হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তারা। পাশাপাশি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসোহারা পাচ্ছেন ঠিকই। মাঝখান থেকে বিএনপির রাজনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিএনপির মহাসচিব গা বাঁচিয়ে থাকছেন। প্রতি রাতেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করার নামে বিভিন্ন দূতাবাস ও প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেন। এদিকে রিজভী আহমেদ বিএনপিকে জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায়শই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে মিছিল করেন। তার মিছিলের চেষ্টায় বরাবরই খুশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রিজভী সাহেবই পারেন দলকে পুনর্গঠিত করতে।

এদিকে বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেন, কিছুদিনের মধ্যে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেরকম তথ্যও পেয়েছি। বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ে তৃণমূলে এখন প্রশ্ন উঠছে। দলের এই বিপর্যয়ের জন্য আসলে কারা দায়ী? দলকে চালান সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সুতরাং দলের ব্যর্থতার দায় তারা এড়াতে পারেন না। আমিও মনে করি, বিএনপিকে নতুন রূপে ফিরিয়ে আনতে গেলে বর্তমান কমিটির সদস্যদের সরিয়ে তুলনামূলক তরুণদের দায়িত্ব দেয়া উচিত। প্রয়োজনে সিনিয়রদের বেগম জিয়ার উপদেষ্টা কমিটিতে জায়গা করে দেয়া যেতে পারে। এতে তারাও অসন্তুষ্ট হবেন না।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়