বিএনপির ভবিষ্যৎ কি জানে না খোদ নেতা-কর্মীরা!
অনলাইন ডেস্ক
দুঃশাসন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, যুদ্ধাপরাধীদের সাথে জোট বাধায় এক সময়ের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি একটি দিগভ্রান্ত মুমূর্ষু এক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দলটির চারদিকে হতাশা, নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্ত, নেতৃত্ব নিয়ে ধোঁয়াশার কারণে মৃতপ্রায় দলে উপনীত হয়েছে বিএনপি। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দলে দলে নেতা-কর্মীরা দলত্যাগও অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় কোন্দল, কমিটি বাণিজ্য, সিনিয়র-জুনিয়রদের সমন্বয়হীনতার কারণে বিএনপির বিলুপ্তিরও শঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির অবস্থা যেনো কাণ্ডারিবিহীন নৌকার মতো। বিএনপিকে চালায় কে, সেটি সম্পর্কে সন্দিহান নেতা-কর্মীরাও। নেতারা জানেন না কী হচ্ছে কী করবেন। কর্মীরা জানেন না তাদের কী করতে হবে। নেতারা কী বার্তা দেবেন? সব ঝিমিয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে কোথাও সভা হলেই নেতায় নেতায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দলের নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির হাতে নেই। সিনিয়র নেতাদের নিয়মিত পল্টনের অসহ্য বয়ানে দেশবাসী অতিষ্ঠ। সিনিয়র নেতারা খালেদা জিয়াকে নেতা মানলেও তারেককে নেতা মানতে অনেকেই নারাজ। বেগম জিয়া অনেকটাই জোর করে তারেককে নেতা বানিয়েছেন। যোগ্যতা না থাকলেও পারিবারিক ক্ষমতাবলে তারেক বিএনপির নেতা হয়েছেন। কিন্তু বেগম জিয়ার সিদ্ধান্ত অমান্য করার সাহস সেই দলীয় নেতা-কর্মীদের নেই। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। বিএনপির অবস্থাও যেনো প্যারালাইজড রোগীর মতো। চেতনা আছে, কিন্তু কর্ম সাধনের ক্ষমতা নেই।
জ্বালাও-পোড়াও নীতি, খালেদার জেল, অসুস্থতা, তারেক রহমানের দণ্ড, জামায়াতের মতো যুদ্ধাপরাধী দলকে নিয়ে লুকোচুরি খেলায় মেতেছে বিএনপি। রাজনীতির নামে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলছে বিএনপি। যার পরিণাম স্বরূপ জনগণও বিএনপির সাথে লুকোচুরি খেলছে। বিএনপির হাঁকডাককে হাসির খোরাক হিসেবে গ্রহণ করছে জনগণ। নিজেদের দোষেই জনগণের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে বিএনপি। আজকে বিএনপির মরণদশার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। হারাতে হারাতে আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে বিএনপি। বিএনপিজুড়ে আপোষকারী নেতার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। দলটির তথ্য পাচার হয় বিভিন্ন মহলে। বিএনপির নেতারা কেউ কাউকে বিশ্বাস করেন না।
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পরামর্শ, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে বিতর্কিত নেতৃত্বকে পরিবর্তন করতে হবে। বিদেশ থেকে দল চালানো বন্ধ করতে হবে। বাঁচতে হলে জামায়াতকে ছাড়তে হবে। অতীতের অপকর্মের জন্য জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই হয়তো পাপমোচন হবে বিএনপির। পরিত্রাণের পথ খুঁজে পেতে পারে দলটি।
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- রাজধানীতে অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেফতার
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ