ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না, মূল্যায়নে উত্তীর্ণ

Md. Shafiq

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ২১ অক্টোবর ২০২০  

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরে মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসায় বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে।।

বুধবার (২১ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, "চলামান করোনা পরিস্থিতির জন্যই চলতি বছর কোনো পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই মূল্যায়নে যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি না হয় সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, পরবর্তীতে তাদের কিভাবে অতিরিক্ত ক্লাস করানো হবে বা কিভাবে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা যায় সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এবার কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না।"

‘আমরা মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের একটি মূল্যায়নের পরিকল্পনা করেছি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। এজন্য ৩০ কর্মদিবসে সম্পন্ন করা যায় এমন সিলেবাস প্রণয়ণ করেছে এনসিটিবি। আমরা লক্ষ্য রাখছি যাতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি না হয়। শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে যাওয়ার জন্য যতটুকু জানা প্রয়োজন সেটি বিবেচনায় করেই এ সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে,’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  

পরবর্তী ক্লাসে উঠতে এ মূল্যায়ন পদ্ধাতি কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান তিনি।

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, “এবার অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা হচ্ছে না। পরীক্ষা না দিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে তাদের যেতে হবে। তবে তাদের ক্ষেত্রে সনদের একটি বিষয় রয়েছে। তাদের সনদ বিষয়ে পরবর্তীতে জানিয়ে দেবো। কারণ তারা কোনো সনদ পাবে না সেটি তো উচিত নয়।”

মূল্যায়ন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষার্থীদের তো তাদের ইতোপূর্বের রেজাল্টে অনেকটা মূল্যায়ন করা যেতে পারে। শিক্ষকরা তো শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ধারণা রাখে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাইন্স, কমার্স, আর্টস বিভাগে কে কিভাবে যাবে সেটিও আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসব।”

শিক্ষাবর্ষ বৃদ্ধির বিষয়ে দীপু মনি বলেন, “আমরা সব পরিকল্পানাই মাথায় রাখছি। শিক্ষাবর্ষ বৃদ্ধির প্রয়োজন কিনা সেটির জন্যও চিন্তায় রাখছি। এখন যে অবস্থায় আছি তাতে এখনও শিক্ষাবর্ষ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা নতুন ক্লাসে যাবে সেটি এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত। যারা অনলাইনে ক্লাস করতে পারেনি বা করতে পারছে না, নভেম্বর-ডিসেম্বরে তাদের রিচ করার চেষ্টা করব। যারা ক্লাস করেনি শুধু তারা নয়, যারা করেছে তাদের মধ্যেও দুর্বলদের এগিয়ে নিতে আরও বেশি ক্লাস করাতে হবে। কিভাবে সেসব ক্লাস হবে সেই পরিকল্পনাও করছি।”

সামনের বছরে ভর্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “এখন এমন অবস্থায় আমরা বলতে পারছি না একমাস পর কি অবস্থায় থাকব। ভর্তি কখন শুরু করতে পারব কীভাবে হবে সেটিও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অনলাইনে সেটি করব কিনা সেটিও দেখছি, কিন্তু অনলাই সবার জন্য অ্যাকসেসেবল না। সুতরাং কীভাবে করব পরবর্তিতে সেটি জানিয়ে দেবো।”

এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়