ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বর্ণিল আয়োজনে পর্দা উঠল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ২ এপ্রিল ২০২১  

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বর্ণিল আয়োজনে পর্দা উঠল বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস-২০ এর। দেশের ৯ শহরের ২৯ ভেন্যুতে এ খেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সাড়ে ৫ হাজার অ্যাথলেট ৩১টি ক্রীড়ায় ১২৭১টি পদকের জন্য প্রায় ১০দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। 

এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩২ মিনিটে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সাড়ে ৫টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এরপর অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের খেলাধুলার উল্লেখযোগ্য সাফল্য গাঁথা।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসন গ্রহণের পর পরই জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। 

ক্রীড়াবিদরা সারিবদ্ধ হয়ে মাঠে অবস্থান নেন, ক্রীড়াবিদদের শপথবাক্য পাঠ করান তীরন্দাজ রোমান সানা এবং বিচারকদের পক্ষে শপথবাক্য পাঠ করান সাবেক জুডো তারকা কামরুন্নাহার হিরু। ৩১টি ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরা হাত নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিওএ সভাপতি ও গেমসের সাংগঠনিক কমিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এ ছাড়া বক্তব্য রাখবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। এরপর বক্তব্য ও বঙ্গবন্ধু গেমসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এরপর কিছুক্ষণের জন্য লেজার শো ও আতশবাজি হয়। এই অংশ শেষে মশাল হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। এরপর সামনে আসে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের মাসকট ‘কপোত’। মাঠ প্রদক্ষিণ করে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায় বঙ্গবন্ধু গেমসে মাসকট ‘কপোত’।

এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কয়েকজন তরুণ শিল্পীর সমবেত সঙ্গীতের পর বাংলাদেশের ইতিহাসের  বিভিন্ন প্লটের ওপর ভিত্তি করে মঞ্চে দেখানো হয় সেসব ঐতিহাসিক মূহূর্তের কাল্পনিক দৃশ্য। সমবেত কণ্ঠে দেশাত্ববোধক গান পরিবেশনা করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী তিমির নন্দী, রফিকুল আলম, শাহীন সামাদ, বুলবুল মহানবীশ ও ডালিয়া বুলবুল। এর কিছক্ষণ পর মঞ্চে আসেন দেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর সঙ্গীত পরিবেশনা করেন রবীন্দ্র সঙ্গীতের খ্যাতিমান শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। 

এরপর শুরু হয় চোখ ধাঁধানো লেজার শো ও আতশবাজি। প্রায় ১২ মিনিট ধরে চলে এই পর্ব। এই পর্ব দিয়ে শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। 

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ অলিম্পিক নামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গেমসের প্রথম আসর। এরপর ২০০২ সাল পর্যন্ত নিয়মিত গেমস আয়োজিত হলেও অষ্টম আসর বসেছিল ২০১৩ সালে। চার বছর পর ২০১৭ সালে ৯ম বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করতে চেয়েছিল বিওএ। তবে পরে বাংলাদেশ গেমসের চিন্তা বাদ দিয়ে ২০১৮ সালে যুব গেমস আয়োজন করে তারা।  জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ের তিন স্তরে আয়োজিত সাড়া জাগানো ওই যুব গেমসে দেশের অনুর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সী প্রায় ৩০ হাজার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা ২০টি ডিসিপ্লনে অংশ নেয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়