ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও গণভোজ আয়োজন করা হয়েছে শার্শায়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ৩১ আগস্ট ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শার্শার বাগআঁচড়ায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকালে বাগআঁচড়া সাতমাইল বালিকা আলিম মাদ্রাসা মাঠে প্রধান অতিথি ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন শার্শার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইলিয়াছ কবির বকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার।

বাগআঁচড়া সাতমাইল বঙ্গবন্ধু একতা সংঘের আহবায়ক গাজী আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাইফুজ্জামান দিপুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল বলেন, বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার মাস। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী। পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার যে ডাক দিয়েছিলেন তা অবিস্মরণীয়। সেদিন তাঁর বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এই অমর আহ্বানেই স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি। সেই মন্ত্রপূত ঘোষণায় বাঙালি হয়ে উঠেছিল লড়াকু এক বীরের জাতি। তাই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী উচ্চাভিলাষী কয়েকজন সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করেছে ওই চক্রান্তেরই বাস্তব রূপ দিতে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে হামলা চালায় গভীর রাতে। হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে। বিশ্ব ও মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সেদিন তারা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার সাথে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য করুণ বিয়োগগাথা হলেও ভয়ঙ্কর ওই হত্যাকাণ্ডে খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে। এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ শান্তি, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবু তালেব সরদার, ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, গাজী মুছা, আল আমিন খান, ইদ্রিস আলী সাহাজী, আবু তালেব মেম্বর, আলমগীর কবির মেম্বর, মোজাম গাজী মেম্বর, জিয়াউর রহমান জিয়া মেম্বর, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলী আহম্মদ মেম্বর, সাধারন সম্পাদক ইকবাল হাসান তুতুল, বাগআঁচড়া সাতমাইল বঙ্গবন্ধু একতা সংঘের সদস্য আসাদুজ্জামান নয়ন, খায়রুল আলম দুষ্টু, সাইফুজ্জামান মন্টু, মাজহারুল আলম মিন্টু, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব পল্টু, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান অপু, বাগআঁচড়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি অহিদ হাসান সহ ওয়ার্ড থেকে আগত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মী বৃন্দ।

দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাগআঁচড়া সাতমাইল ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ নুরুল হক।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়