ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয় রংপুর অঞ্চলে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ১৮ এপ্রিল ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশে আলুর চাহিদা প্রতি বছর ৬৫-৭০ মেট্রিক টন। উৎপাদন প্রায় এক কোটি মেট্রিক টন। যার এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন আলু আসে রংপুর বিভাগীয় অঞ্চল থেকে। রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও লালমনিহাট জেলা থেকে এসব আলু দেশের অন্যান্য জেলায় সরবারাহ করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ রংপুর অঞ্চলের প্রধান খন্দকার আব্দুল ওয়াহেদ জানান, এবার রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ৯৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৮২ মেট্রিক টন। যা দেশে মোট উৎপাদনের চার ভাগের এক ভাগ।

রংপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, রংপুর জেলায় এবার ৫৩ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার ২৫ মেট্রিক টন। গত বছর ৫০ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯৫ মেট্রিক টন আলু।

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে আলু। এ ফসল উৎপাদনে দেশের অন্যতম প্রধান জেলা রংপুর। তবে সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা এবং ভরা মৌসুমে দাম না পাওয়ায় অধিকাংশ সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত হন আলু চাষিরা। রংপুর জেলায় ৩৫টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে মাত্র চার লাখ মেট্রিক টন।

আশার কথা হচ্ছে চাষিদের কথা বিবেচনা করে কৃষি বিপণন অধিদফতর আলু সংরক্ষণে রংপুরে নির্মাণ করছে অহিমায়িত মডেল ঘর। যেখানে কৃষক পর্যায়ে চার মাস পর্যন্ত আলু সংরক্ষনে রাখা যাবে। এতে কমবে লোকসানের আশঙ্কা। রংপুর বিভাগসহ সারাদেশের ১৬টি জেলায় গৃহ পর্যায়ে পর্যায়ে আলু সংরক্ষণে অহিমায়িত মডেল ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মডেল ঘরের ধারণ ক্ষমতা ২৫-৩০ মেট্রিকটন।

রংপুর কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক জানান, বসত বাড়ির উঁচু, আংশিক খোলা ছায়াযুক্ত স্থান নির্ধারণ করতে হবে। মাচাং পদ্ধতি থাকতে হবে। আমরা ঘরে গ্যাস পাইপ দিয়েছি। যাতে বাতাস ও আলো চলাচলের ব্যবস্থা থাকে।

চাষিরা বলেন, বাজারে যখন আলুর সংকট সৃষ্টি হয় তখন আমরা এই অহিমায়িত ঘর থেকে আলু নিয়ে সরবরাহ করতে পারি। এখানে আলু রাখলে দেড় লাখ টাকা সাশ্রয় হয়। বিক্রির সময় ওজনও ঠিক থাকে। ঘরের নির্মাণ খরচ ছাড়া আর কোনো খরচ না থাকায় লোকসানের আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

কৃষি অধিদফতর জানায়, গৃহ পর্যায়ে অহিমায়িত মডেল ঘর নির্মাণ করা হলে একদিকে চাষিরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে উৎপাদনও বাড়ানো সম্ভব হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়