ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

প্রমাণসহ ইলিয়াসের অপরাধ-নামা প্রকাশ করলেন কমরেড সামাদ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ১০ মে ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি একটি টকশোতে বাংলাদেশ থেকে পলাতক কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (মার্ক্সবাদী) জেনারেল সেক্রেটারি ডা. এম এ সামাদ, ইউটিউবার ব্যারিস্টার মুফাসসিল ইসলামের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যার বিষয়বস্তু ছিল ডা. এম এ সামাদ কর্তৃক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আনীত কয়েকটি অভিযোগ।

অভিযোগের মধ্যে ছিল- ইলিয়াস তার সন্তানকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য করেন। কারন ইলিয়াস তার স্ত্রীর পরকিয়া প্রেম নিয়ে দীর্ঘদিন সন্দেহ পোষন করে আসছিল। তার স্ত্রীর সাথে মোস্তফা আল খালিদ নামের উত্তরার এক ব্যক্তির সাথে পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। এমনকি ইলিয়াসের ঘরে জন্ম নেওয়া পূত্র সন্তানকে ইলিয়াস অস্বীকার করেন। ইলিয়াসের অভিযোগ ছিল- তার স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের ফসল ছিল ঐ সন্তান। পরে এ বিষয়ে পারিবারিক ভাবে সালিশও হয়। এর কিছুদিন পর ইলিয়াসের ঐ সন্তান দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য করে ইলিয়াস। কমরেড সামাদ যখন টক-শোতে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে সন্তানকে বিনা চিকিৎসায় হত্যার অভিযোগ তুলছিলেন তখনও ইলিয়াসকে নিশ্চুপ থাকতে দেখা যায়।

এছাড়াও ঐ টক-শোতে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে দুই যুবককে দীর্ঘদিন বলৎকার করার অভিযোগ করেন কমরেড সামাদ। একুশে টেলিভিশনে চাকরি দেওয়ার নাম করে গ্রামের দুই যুবককে ঢাকাতে এনে ইলিয়াস তাদের বলৎকার করেছে- এমন অভিযোগ করেন কমরেড সামাদ। এসময় কমরেড সামাদ বলৎকার করার স্থানের কথা উল্লেখ করে উপস্থাপককে এসকল তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য বলেন। কমরেড সামাদের মুখে বলৎকারের অভিযোগ শুনে ইলিয়াসকে শক্ত কোন প্রতিবাদ বা যুক্তি উপস্থাপন করতে দেখা যায়নি। তবে ইলিয়াস সেই টকশোতে ডা. সামাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন তার দেয়া তথ্যগুলো ভুল। ইলিয়াসের দাবী ছিল- কমরেড সামাদ তার পিতার নাম, পরিচয় ও ঠিকানা সম্পর্কে যা কিছু বলেছেন, সবই অসত্য এবং ভুল। ইলিয়াসের এমন দাবীর মুখে টকশোতে উপস্থিত কমরেড এম এ সামাদের তথ্যগুলোর যথার্থতা নিয়ে কিছুটা সংশয়ে তৈরী হয়। তবে এসময় কমরেড সামাদ জানান, শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিয়ে তিনি হাজির হবেন। আর এবার তিনি তার দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের দিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। তথ্য সংগ্রহকারীরা স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে যান, তাদের মাধ্যমে ইলিয়াসের পূর্ব পুরুষদের সম্পর্কে সংগ্রহ করেন বিস্তারিত।

আর সেসব তথ্য প্রমানসহ ইলিয়াস হোসেন ও তার পরিবারের পুরো জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে হাজির হন কমরেড সামাদ তার আরেকটি ফেসবুক লাইভে। সেখানে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগকে পছন্দ করি না, কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারি না। যিনি জীবনের ১৩/১৪ বছর জেল খেটেছেন দেশের মানুষের জন্য, যাঁর কারণে স্বাধীন দেশের নাগরিক আমি এবং ইলিয়াস, তাঁকে নিয়ে ইলিয়াস কীভাবে এত নোংরামি করতে পারে, আমি বুঝি না।

এরপর ডা. সামাদ উন্মোচন করেন ইলিয়াসের বংশ-পরিচয়। জানান, ইলিয়াসের বাবার নাম- মোশাররফ হোসেন, যিনি শৈশবে আসল বাড়ি চাঁদপুর পালিয়ে চলে যান চুয়াডাঙ্গায়। ডা. সামাদ তুলে ধরেন, কীভাবে রাস্তায় টোকাইগিরি করা ইলিয়াসের বাবা এক মহানুভব ব্যক্তির সহায়তায় পড়ালেখা করেন, চাকরি করেন। কিন্তু বিনিময়ে সেই মহানুভব ব্যক্তির ঘেঁটুপুত্র হিসেবে সেবা দিতে হয়েছিল তাকে।

ডা. সামাদ এছাড়া ইলিয়াসরা কয় ভাই-বোন, তাদের নাম-পরিচয়, ইলিয়াসের শৈশব, তরুণ বয়সে কী করেছে, বাবার মত সীমান্তে চোরা কারবারি করত ইলিয়াস। আর তা করতে গিয়ে বিএসএফ এর হাতে ধরাও পড়েছিল এবং বলাৎকার হওয়া সবই উঠিয়ে আনেন ডা. সামাদ। তার ১৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করেন এ বিষয়ে।

ইলিয়াসের বাবা মোশাররফের নামে চুয়াডাঙ্গায় কেউ চেনে না, চেনে ঘেঁটুপুত্র হিসেবে। এই নামে সেখানে সন্ধান করলে ইলিয়াসদের পরিবার সম্পর্কে সবাই জানিয়ে দেবে বিস্তারিত- জানান ডা. এম এ সামাদ।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়