ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

প্রতারণার মামলায় নিরাপদ ডটকমের সিইও শাহরিয়ার কারাগারে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫১, ১৭ জুলাই ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রাজধানীর আদাবর থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে ই-কমার্স সাইট নিরাপদ ডট কমের সিইও শাহরিয়ার খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে ইশতিয়াক আহমেদ নামে প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি আদাবর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। সেই মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগ এই মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তে যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ জুলাই রাজধানির শান্তিনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহরিয়ার খানকে গ্রেফতার করে ডিবি সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি কম্পিউটার, দুটি ল্যাপটপ, দুটি হার্ড ডিস্ক, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি চেক বই, ১৩টি ডেভিট-ক্রেডিট কার্ড, ২৩টি সিম কার্ড, সার্ভারের তথ্য ও অন্যান্য কাগজ উদ্ধার করা হয়।

এরপর গত ১২ জুলাই তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদাবর থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার শাহরিয়ার ২০২০ সালের আগস্ট মাসে নিরাপদ ডট কম নামে একটি অনলাইনভিত্তিক ই- কমার্স সাইট খুলে বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেন। তাদের কাছ থেকে একটি পেমেন্ট গেটওয়ের (এসএসএল কমার্স) মাধ্যমে অগ্রিম অর্থ হাতিয়ে নেন। তারা ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মোবাইল সেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, ওভেনসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম ৩০ দিনের মধ্যে হোম ডেলিভারি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে গ্রাহকদের প্রলোভন দেখান। তাদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার।

মামলার সূত্রে আরো জানা যায়, এক মাসের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার অর্ডার পান নিরাপদ ডট। যার মাধ্যমে প্রায় সাত থেকে আট কোটি টাকা শাহরিয়ারের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। তাকে পণ্য অর্ডারকারীর মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্র ও অল্প বেতনের চাকরিজীবী। প্রাথমিক অবস্থায় তারা কিছু পণ্য ডেলিভারি করে সেই গ্রাহকদের দিয়ে তাদের পেইজে পজিটিভ রিভিউ পোস্ট করিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে। পরবর্তীতে অধিক সংখ্যায় অর্ডার এবং অগ্রিম অর্থ পেলে পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে তারা। অনেক দিন পেরিয়ে গেলে গ্রাহকরা যখন বুঝতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন তখন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিকার দাবি করতে থাকেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়