ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রকৃতির ক্ষতি করে এমন প্রকল্প গ্রহণ নয় : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২৩ নভেম্বর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকৃতির ক্ষতি করে না- এমন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা ও অপ্রয়োজনীয় সংশোধনী এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তিনি। একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি জানান, ২৫৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘উপকূলীয় জলবায়ু সহিঞ্চু শহর’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন- উপকূলীয় এলাকা সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট না করে প্রকল্পটি সতর্কতার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেবল কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বলেছেন এমন নয়, তিনি মানসম্পন্ন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্যশস্য এবং ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। এছাড়া তিনি গুদামে খাদ্যশস্য মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্যশস্য সংরক্ষণে উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবারো চলমান প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন এবং বারবার প্রকল্প সংশোধনী এড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি রাজধানীর খালগুলোয় স্বাভাবিক জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে খাল মুক্ত রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি এখন নিন্মমুখী, পক্ষান্তরে শ্রম মজুরির সূচক ঊর্ধ্বমুখী। যদিও এটি খুব বেশি সন্তোষজনক নয়, তবে ভালো লক্ষণ। দেশে এবার আমন ফসলের ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছি, যা অবশ্যই সবার জন্য সুখবর। এটি মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার ক্ষেত্রে সরবরাহ বাড়াবে। লাখ লাখ টন খাদ্যশস্য এখন মাঠে রয়েছে, যা কৃষকদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য-উপাত্ত উদ্বৃত করে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে শাকসবজির উৎপাদন ৬ গুণ বেড়েছে। পুষ্টিসমৃদ্ধ বিভিন্ন খাদ্যশস্য ও ফলমূলের উৎপাদন মূল্যস্ফীতিকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে।   

পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি আরো কমে আসবে। ডিসেম্বর মাসে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে আরো হ্রাস পাবে এবং আগামী মার্চ মাস নাগাদ মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 

এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে চলতি হিসাবের ব্যবধান ধীরে ধীরে কমে আসছে। এছাড়া, রেমিট্যান্স ও রফতানির ইতিবাচক প্রবণতা রয়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়