ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন আগামীকাল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন আগামীকাল

পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন আগামীকাল

যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেকটি সুখবর। দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর এক মাসের মাথায় শুরু হচ্ছে প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এমআরটি লাইন-১ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, সকাল ১১টায় পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। সেখানে এক লাখের বেশি লোকসমাগম হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের লাইন-১-এর ডিপো নির্মাণ হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার পিতলগঞ্জে। এ কাজের জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ডিএমটিসিএল। পুরো প্রকল্পটির কাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।

এর মধ্যে প্যাকেজে সিপি-১-এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন করার কাজটি শুরু হবে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর। যেখানে ডিপো নির্মাণ করা হবে, সেখানে অনেক উঁচু-নিচু জায়গা আছে। সেগুলো ভরাট করার কাজ শুরু হবে। তারপর সেখানেই ডিপো নির্মাণ করা হবে।

এমআরটি লাইন-১ হিসেবে চিহ্নিত এ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ হবে ভূগর্ভে। এ অংশে থাকবে মোট ১২টি স্টেশন। আরেক অংশ হবে এলিভেটেড; সেই অংশ নতুনবাজার থেকে কুড়িল হয়ে যাবে পূর্বাচলে। ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটারের এ অংশে থাকবে মোট ৯টি স্টেশন। পাতাল ও উড়াল মিলে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

এমএএন ছিদ্দিক বলেন, এমআরটি লাইন-৬-এ আমরা যে কন্ট্রোল সেন্টার থেকে পরিচালনা করছি, সেটা এখন সাড়ে ৩ মিনিট পরপর চলতে পারে। এটাকে আমরা কমিয়ে আনতে পারব। অন্যদিকে, এমআরটি লাইন-১-এ ১০০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করব। এটাকে হেডওয়ে বলে। ১০০ সেকেন্ডের মধ্যে একটার পর আরেকটা ট্রেনে আসবে, এটি আর কমানোর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এমআরটি লাইন-৬-এর স্টেশনগুলো রাস্তার ওপরে হয়েছে। একইভাবে এমআরটি লাইন-১-এর স্টেশনগুলো রাস্তার নিচে হবে। এটা মাটির ওপরে তিনতলা হয়েছে, ওটা মাটির নিচে তিনতলা হবে। জনসাধারণের যাতে ভোগান্তি না হয়, সে কথা মাথায় রেখে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার করছি।

ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পাতাল স্টেশনগুলো আমরা ওপেন কাট পদ্ধতিতে করব। রাস্তার অর্ধেক অংশ প্রথমে খনন করা হবে। ওই অংশে সব যন্ত্রপাতি নিচে নামানো হবে এবং তার ওপর স্টিলের পাত দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে যান চলাচলের জন্য। ওই পাতের ওপর দিয়ে ৪০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়ি চলাচল করতে পারবে।

পাতাল ট্রেনের নির্মাণকাজের জন্য এরই মধ্যে ৯২ দশমিক ৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকা এর অর্থায়ন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে দেশের প্রথম মেট্রোরেল গত ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর এ বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে, আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এই সময়ে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এমআরটি পাস বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজারের বেশি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়