নেত্রকোনায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী

দিনব্যাপী নানা রকম আয়োজনের মধ্য দিয়ে নেত্রকোনায় পালিত হলো বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। 

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী নেত্রকোনা জেলা শহর ও হুমায়ূন আহমেদের পৈত্রিক নিবাস জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় জন্মদিনের কেক কাটা, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন। এছাড়া কেন্দুয়া উপজেলার নিজ গ্রাম কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। 

হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোনা জেলা শহরে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করে হিমু পাঠক আড্ডা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সকালে জন্মদিনের কেক কেটে এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান। এ সময় নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান ও হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা আলপনা বেগমসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা শহরে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে হলুদ পাঞ্জাবি ও শাড়ি পড়ে হিমু-রূপা সেজে অংশ নেন হিমু পাঠক আড্ডার তরুণ-তরুণীরা। 

হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা আলপনা বেগম জানান, আমরা প্রতি বছরই হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করে আসছি। এ বছরও করছি। হিমু পাঠক আড্ডার মূল উদ্দেশ্যই হলো এলাকার তরুণ তরুণীদের সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ নানা রকম ভালো কাজে সম্পৃক্ত করা। হুমায়ূন আহমেদ মানুষকে বইমুখী করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে এসে আমাদের তরুণ বই পড়া ভুলে গেছে বললেই চলে। তাই মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতেও কাজ করছে হিমু পাঠক আড্ডা। 

তিনি বলেন, এ বছর আমরা হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছি।

এদিকে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত তার স্বপ্নের স্কুল কেন্দুয়া উপজেলার নিজ গ্রাম কুতুবপুরের শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের উদ্যোগেও দিনব্যাপী নানা রকম কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, স্যারের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছি। এরমধ্যে হুমায়ূন স্যারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হয়েছে।

হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি মজিবুর রহমান ও চর্চা সাহিত্য আড্ডার সমন্বয়কারী রহমান জীবন জানান, আমরা প্রতি বছরই হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে থাকি। কারণ হুমায়ূন আহমেদ আমাদের গর্ব এবং অহংকার।