নিজে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক
নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
নব-গঠিত রাজনৈতিক সংগঠন গণ-অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন। নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সোহরাব হোসেন লিখেন, সাংগঠনিক স্বার্থে অনেককিছু হয়তো বলিনা। সংগঠনের কাজের কথা বলে টাকা আনতে দেখেছি, খরচ করতে দেখিনি।
কিছুদিন আগে আমার আব্বুর চোখের ছানি অপারেশন করার জন্য ৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল৷আমি ভাবলাম আমার আশেপাশের সহযোদ্ধাদের জানানো উচিত। তাদের জানালে তারা হয়তো সহযোগিতা করবে কারণ তারাও তাদের এবং তাদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে এভাবেই চিকিৎসা করায়। তারা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে টাকা আনতে পারে। চিকিৎসার কথা বলে, কিংবা সংগঠনের কাজের কথা বলে অনেকে অনেক টাকা নিয়ে আসতে দেখেছি কিন্তু খরচ করতে দেখিনি সাংগঠনিক স্বার্থে অনেককিছু হয়তো বলিনা।
বাবার চোখের অপারেশনের জন্য সংগঠনের কয়েকজনকে জানিয়েছি তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্কিপ করে গেছে যদিও তাদের কাছ থেকে আমি সহযোগিতা পাবো এরকম আশা করিনি তবুও তাদের জানালাম ৷প্রবাসী কয়েক ভাইকে বলেছি তাদের বলতে দেরি হয়েছে টাকা পাঠাতে দেরি হয়নি তারা ৩ জন মিলে ২৭ হাজার টাকা দিয়েছে, অন্য সংগঠনের এক ভাইকে বলতেই ৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে, ছোট ভাই জানার সাথে সাথেই নিজের মশিউর ৩ হাজার পাঠিয়ে দিছে৷এছাড়া কেউ সহযোগিতা করেনি। আরও কিছু টাকা হলে হয়তো ভালভাবেই চিকিৎসা টা করাতে পারতাম৷
আজ আমি রাজনীতি না করে যদি ৪০-৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতে পারতাম। তাহলে নিজের এবং নিজের প্রয়োজনগুলো সহজেই মেটাতে পারতাম। কোন অর্থ কষ্ট করতে হতো না৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজনীতিতে সময় দেওয়াতে মাস্টার্স টা শেষ করতে পারিনি ৷এই যে আমার একডেমিক যে ক্ষতি টা হয়েছে এটার ক্ষতিপূরণ কি সংগঠন দিতে পারবে? রাজনীতি করতে এসে ৪ টা মামলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে, অসংখ্যবার হামলার শিকার হয়েছি সংগঠন আমাকে কী দিয়েছে? সংগঠন কি আমাকে বেতন দেয়? খেয়ে না খেয়ে, হামলা-মামলা উপেক্ষা করে নিজের জীবন বাজি রেখে, পরিবার ও নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে কী লাভ যদি আমি আমার যথাযথ সম্মান টা না পাই৷আল্লাহ না করুক ভবিষ্যতে যদি আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউ বড় কোন অসুখ বিসুখ কিংবা বিপদে পরে মানুষের কাছে হাতপাতা ছাড়া উপায় নাই৷
রাজনীতিতে যে সময় ও শ্রম দিয়েছি সেই সময় টা যদি আজ নিজেকে দিতে পারতাম তাহলে আমি এবং আমার পরিবার খুব ভালভাবেই চলতে পারতাম৷রাজনীতি করে কী লাভ? বাসে দাড়িয়ে দাড়িয়ে প্রোগ্রামে যাওয়া, প্রোগ্রাম যাওয়া ফেরার পথে বাস ভাড়াটাও থাকে না, হেটে হেটে আসতে হয় বাসায়, ভর্তা, ভাজি দিয়ে খেয়ে বাসায় এসে ঘুমাতে হয়, কোনদিন এটাও কপালে জুটে না। এতকিছুর পরও দেশের, জনগণের চিন্তা করে রাজনীতি করছি। কিন্তু নুন্যতম আমার কাজের সম্মান টা পাওয়ার আশা করি। নিজের হাতে গড়া সংগঠনগুলো ও রাজনৈতিক দলে শ্রম দিয়ে কী লাভ?
নিজের এবং নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে, হামলা মামলা উপেক্ষা করে, রক্ত, শ্রম, ঘাম দিয়ে পায়ের জুতা ক্ষয় করে দলের জন্য যতই ত্যাগ স্বীকার করেন না কেন, দিনশেষে তেলবাজ, ফাপরবাজ ও চাটুকারদের ভীড়ে একদিন আপনাকে হারিয়ে যেতে হবে৷
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- রাজধানীতে অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেফতার
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ