ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নকলায় গাজর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষীরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ২০ এপ্রিল ২০২১  

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

কম খরচে ও স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় শেরপুর জেলায় ক্রমেই বাড়ছে গাজরের চাষ। উচ্চ মূল্যের এ সবজির বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় জেলা সদর ও নকলাসহ অন্যান্য উপজেলায় গাজর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, শুধুমাত্র ধান কিংবা পাট আবাদ ছাড়াও কৃষিকে অধিক লাভজনক বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে গাজরসহ বহুমুখী ফসল আবাদে চাষীদের সকল ধরনের সহায়তা করা হবে।

কিছুদিন আগেও এলাকায় গাজর চাষ সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিলো না স্থানীয় চাষীদের অপেক্ষাকৃত কম খরচে বেশী লাভ হওয়ায় উচ্চ ফলনশীল জাতের গাজর চাষে অধীক লাভ হওয়ায় শস্যভান্ডার খ্যাত নকলার কৃষকরা গাজর চাষের বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

নকলা উপজেলায় এবার প্রথমবারের মতো ৩৫ শতাংশ জমিতে গাজর চাষ করেছেন কৃষক আব্দুল মোতালেব। সবমিলিয়ে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। কৃষি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, ৬০ থেকে ৭০ মণ গাজর তুলতে পারবেন তিনি। প্রতিমণ গাজর বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৮শ টাকায়। বাজার ভালো থাকায় তার মুখে ফুটেছে হাসি। রবি মৌসুমের শুরু খুব কম খরচে গাজর চাষ করে সহজেই বেশী আয় করা সম্ভব। অপেক্ষাকৃত লাভ বেশী হওয়ায় অনেক কৃষক অল্প জমিতেও উচ্চ ফলনশীল জাতের গাজর চাষ করে ইতি মধ্যেই বদলে গেছে অনেকের ভাগ্য।

উপজেলার বাছুরআলগা ব্লকের উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তা মো. মশিউর ররহমান বলেন মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে আমরাও নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, স্বল্প আয়ুর এ সবজি চাষে কৃষকরা যতটা লাভবান হন, ধান বা অন্য কোন ফসল আবাদে সেটি সম্ভব নয় বলে দিনদিন গাজর চাষের পরিমাণ ও চাষির সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়