ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ধর্ষণ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে মরিয়া জামায়াত-বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ১১ অক্টোবর ২০২০  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির আশায় মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। এবার তারা ছাত্র সংগঠনগুলোকে ভুল পথে পরিচালনা করতে নয়া কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে দলের নেতা-কর্মীরা। 

তারা ছাত্র সংগঠনগুলোকে বোঝাতে চাইছেন, সরকার ধর্ষণরোধ কিংবা দোষীদের কোনো শাস্তিরই আওতায় আনছেন না। তবে প্রকৃত তথ্য হলো, সরকারপ্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধর্ষণ প্রতিরোধে এবং প্রকৃত অপরাধীদের সাজা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অপরাধীদের অনেককেই এরইমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এছাড়া ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবও উপস্থাপন করা হবে। 

এরপরও বিষয়টি আমলে না নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্রটি সরকারবিরোধী জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াত চক্রটি চলমান ধর্ষণ ইস্যুকে বিপথে পরিচালিত করে নিজেদের ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্ষণবিরোধী গণবিক্ষোভ মিছিলের নামে সরকারের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন আলোচনায় মাতেন।

বিশিষ্টজনদের ভাষ্য, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ‘গুজব সেল’ ও নিজেদের ‘পেইড এজেন্ট’র সাহায্য নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র বর্তমান উন্নয়ন ও জনবান্ধব সরকারকে কাবু করতে বারবারই ব্যর্থ হয়েছে। তাই তারা এখন কৌশলে জাতির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি ছাত্রসমাজকে টার্গেট করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এখনই উপযুক্ত সময়। 

তাদের মতে, ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, অপরাধীর পরিচয় সে অপরাধী। দলীয় লেবাস লাগিয়ে অপরাধ থেকে পার পাওয়া যাবে না। শাস্তি অবধারিত। কিন্তু সরকারপ্রধান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসনীয় তৎপরতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্রটি ছাত্র সমাজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে। স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্রটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই, সরকারের ইতিবাচক কর্মতৎপরতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করা।

রাজনৈতিক বিশিষ্টজনরা আরো বলেন, কোনোভাবেই একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠার সুযোগ দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে দেশবাসীর পাশাপাশি সরকারকেও সদাজাগ্রত দৃষ্টি রাখতে হবে।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়