ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দুর্নীতির দায়ে বিএনপির নেতৃত্বে থাকতে পারছে না খালেদা-তারেক

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ১৩ অক্টোবর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের দলীয় নেতৃত্বে থাকার পথও আপাতত বন্ধ৷ গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিকে নেতৃত্বে রাখার ব্যবস্থা করেছিল বিএনপি। ওই আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷

দুর্নীতির দু’টি মামলায় দশ এবং সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার৷ তার বড় ছেলে তারেক রহমানেরও দুর্নীতির দু’টি মামলায় সাত ও দশ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া ২১শে আগস্ট মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তার৷ এ সব দণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন৷ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় ন্যূনতম দুই বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায়৷ দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির এভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার নজির আছে বাংলাদেশে৷

বিএনপির গঠনতন্ত্রে ন’মাস আগেও দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিদের দলীয় কমিটিতে না রাখার বিধান ছিল৷ কিন্তু এক সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাদ দেওয়া হয়৷ মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বিএনপির গঠনতন্ত্রের ওই সংশোনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন৷ এক আদেশে ওই আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে হাইকোর্ট৷

সেই সঙ্গে ওই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার জন্যও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ গঠনতন্ত্র সংশোধনের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মোজাম্মেল হোসেনের করা রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দিয়েছে৷

এ আদেশের ফলে নয় মাস আগে আনা গঠনতন্ত্রের ওই সংশোধনী আপাতত কার্যকর থাকছে না৷ সুতরাং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলীয় নেতৃত্বে রাখা এবং নির্বাচনে তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ আপাতত থাকছে না৷

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়