ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি : তাসকিন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ২৫ অক্টোবর ২০২২  

তাসকিন আহমেদ।

তাসকিন আহমেদ।

২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরের মূল পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এরপর থেকেই মূল পর্বে জয় যেন অধরাই ছিল টাইগারিদের জন্য। এবার নামিবিয়াকে হারিয়ে নেদারল্যান্ড মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার পর থেকেই যেন এই অধরা জয়ের কথা ভাবছিলো বাংলাদেশ। যে জয় দলকে এনে দিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বাস্তব কঠিনই ছিলো। কারণ টানা চার ম্যাচের পরাজয়  নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার আগে প্রথমটিতে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিলো টাইগাররা।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে ৮ উইকেটে মাত্র ১৪৪ রান করায় বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। কন্ডিশন বিবেচনায় এমন স্কোর তাড়া করার মতই ছিলো। তবে তাসকিনের হাত ধরে অবশেষে অধরা জয় পেল বাংলাদেশ। যা আগে এমন জয় কেউই এনে দিতে পারেনি।

ম্যাচ শেষে তাসকিন বলেছেন, এটি আমাদের জন্য একটি দারুন জয় ছিলো এবং এটি আমাদের প্রয়োজন ছিল। আমরা একটি দল হিসেবে ভালো খেলেছি, দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি।

ইনিংসের প্রথম দুই বলেই নেদারল্যান্ডসের দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে চালকের আসনে রাখেন তাসকিন। তাসকিনের এমন শুরুতেই লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ডারচরা। কারণ ইতোপুর্বে নেদারল্যান্ডসের বেশিরভাগ জয়ই এসেছিল টপ-অর্ডারদের দৃঢ়তায়।

হ্যাট্টিকের সুযোগ হাতছাড়া হলেও, মন খারাপ হয়নি তাসকিনের। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে এবং কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়ে খুশি তিনি।

তাসকিন বলেন, হ্যাট্টিক বা পাঁচ উইকেট নিতে হলে ভাগ্যের সহায়তাও প্রয়োজন। তবে আমি অখুশি নই। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি এবং নিজের উন্নতি দেখেও খুশি। উন্নতির কোন শেষ নেই। আমি প্রতিটি ম্যাচেই উন্নতি করতে চাই।

নিজের উন্নতির জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন। কোভিড-১৯ চলাকালীন কঠিন সময়ে নিজের ফিটনেস এবং বোলিং নিয়ে অনেক কাজ করেছিলেন তিনি। পরিশ্রমের কারণে ইতোমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে ধারাবাহিক বোলারদের একজন হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাসকিন।

তবে ধারাবাহিকতার চাইতে, বোলিংয়ের সময় বুদ্ধি খাটিয়ে বল করাটা সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছে তাসকিনের বোলিংয়ে।

নিজের মস্তিস্ককে কতটা ভাল ব্যবহার করতে পেরেছেন সেটি দেখিয়েছেন বলে জানান তাসকিন, ‘আমি আমার মূল বিষয়ে স্থির থেকেছি।  দেখলাম প্রথম ইনিংসে ভালো মুভমেন্ট ছিলো। তাই আমি টেস্ট-ম্যাচের লাইন-লেন্থে বোলিং করেছি। যা আমাকে প্রথম দুই উইকেট শিকারে বড় সহায়তা করে’।

২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি ম্যাচ সেরা হন তাসকিন। তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাননি তিনি। নিজের বোলিংয়ের ভুলগুলো খুঁজে বের করতে এবং সেগুলো শুধরে নেয়ার ওপড় গুরুত্বারোপ করেন তাসকিন।

তাসকিন বলেন, আমি দুই দিকে বল মুভমেন্ট করতে পারি না এবং এখন এটাই ছিল মূল ফোকাস। বিশ্বকাপে এটিই নিয়েই কাজ করেছি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়