ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

তোপের মুখে বিএনপি, অস্তিত্ব রক্ষায় সহিংস হওয়ার পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৮, ২৬ মে ২০২৩  

তোপের মুখে বিএনপি, অস্তিত্ব রক্ষায় সহিংস হওয়ার পরিকল্পনা

তোপের মুখে বিএনপি, অস্তিত্ব রক্ষায় সহিংস হওয়ার পরিকল্পনা

নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে দীর্ঘ সময় ধরে ঢিমেতালে আন্দোলন করছে বিএনপি। মুখে শান্তির কথা বললেও ধীরে ধীরে তাদের এই আন্দোলন কর্মসূচি ক্রমশ সহিংস হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ঢাকা এবং বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে এমন খবরও পাওয়া গেছে।

এ সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

বিএনপি’র একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, দলের হাইকমান্ড পরিকল্পনা করেছিল সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে তারা চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে এবং সেই সময় তারা হরতাল ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে। হঠাৎ করেই লন্ডন থেকে চাপ আসায় সেই পরিকল্পনা থেকে সরে গেছে বিএনপি। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আর অপেক্ষা করতে চান না। তিনি চান- যা করার তা চট-জলদি করতে হবে। যার জন্য তিনি লন্ডন থেকে বিএনপি’র উগ্রপন্থী ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করা নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করছেন নিয়মিত। দিচ্ছেন নির্দেশনাও।

তারেক রহমানের সাথে একমত পোষণকারী বিএনপি’র কিছু নেতা বলছেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আন্দোলন করলে নির্বাচনে বাধা দেয়া যাবে না এবং সরকারেরও পতন হবে না। তাই তখন নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোন বিকল্প থাকবে না। একারণেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়।

প্রসঙ্গত, বিএনপি গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে তারা সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ করে। গত বছর ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের আগে বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর সরকার থাকবে না। খালেদা জিয়ার কথায় সবকিছু চলবে। ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে বিএনপির নাশকতা এবং এক ধরণের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর বিএনপি নেতারা নয়াপল্টনে বিএনপি’র কার্যালয় থেকে পুলিশের উপর হামলা করে। তখন অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে রিজভীসহ বেশ কিছু কেন্দ্রীয় নেতাকে।

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে কোন চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেনি বিএনপি। এরপর থেকেই বিএনপি’র আন্দোলন স্থবির হয়ে পড়ে। এটি নিয়ে বিএনপি’র মধ্যে একধরণের উত্তেজনা তৈরি হয়। বিএনপি’র অধিকাংশ কর্মীরা মনে করছিলেন যে, তাদের নেতারা বোধহয় সরকারের সাথে আপোষের পথ খুঁজছে। এ জন্যই তারা এখন আন্দোলনের লাগাম টেনে ধরেছেন। আর এর ফলে বিএনপি’র ভেতরে চাপ বেড়ে যায়। এখন বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও এক ধরণের অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন, নির্বাচনের আর বাকি আছে ৭ মাসেরও কম সময়। এই সময়ের মধ্যে সরকারের উপর বড় ধরণের কোন চাপ যদি সৃষ্টি করা না যায়, তাহলে সরকারের পতন অসম্ভব হয়ে যাবে এবং সরকার বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচন করবে।

বিএনপি’র অনেক নেতাই মনে করেন সরকার এখন একটি ছক কষে এগুচ্ছে। সেই ছকটি পণ্ড করতেই এখন থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলন করতে চায় তারা। চূড়ান্ত আন্দোলন বলতে তারা সহিংস অবস্থায় আন্দোলনকে ফিরিয়ে আনতে চায় এবং সেই সহিংসতার মাধ্যমে তারা নির্বাচনকেই অনিশ্চিত করতে চায়। বিএনপি’র এই কৌশল সফল হয় কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়