ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩০

তারেকের নির্দেশে দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলার বহিঃপ্রকাশ কুমিল্লার ঘটনা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ১৩ অক্টোবর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত চক্র বেছে নিয়েছে কুমিল্লা সদরের একটি মন্দিরকে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) কুমিল্লা সদর নানুয়া দীঘির পাড়ের একটি পূজা মণ্ডপে দেবীর পায়ের নিচে “পবিত্র কোরআন শরিফ” রেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এরপরই সেখানে জড়ো হতে থাকে জামায়াতপন্থী বিভিন্ন ইসলামিক দলগুলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা হিংসাত্মক বক্তব্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি সাম্রদায়িক দাঙ্গার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। সকাল থেকেই সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দল-মত-নির্বিশেষে সাধারণ মুসলমানগণও নারায়ে তাকবীরের ধ্বনিতে রাজপথ কাঁপিয়ে তুলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে গোপনে নাশকতার ছক কষছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। আর তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। আর এই নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরেছে ১০০ কোটি টাকা।

আরো জানা যায়, এ উদ্দেশ্যে অনলাইন ও অফলাইন (মাঠে) দুই মাধ্যমেই আলাদা আলাদা টিম তৈরি করেছে তারা। শুধু তাই নয়, ৭দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে পুরোপুরি প্রস্তুত করেছে সাম্প্রদায়িক এই শক্তিটি। আর তাদের পেছনে তারেক রহমানের নির্দেশনায় অর্থায়ন করেছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিলভার সেলিম, মোরশেদ খানের পুত্র ফয়সাল মোরশেদ, তাবিথ আউয়াল, কেয়া কসমেটিকসের কর্ণধার আব্দুল খালেক পাঠানসহ এক ডজন বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী।

তাদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তারেক রহমান বলেছিল, যেকোনো মূল্যে দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলা ঘটাতে হবে। শুধু ১০০ কোটি নয়, যত টাকা লাগে আপনারা লগ্নি করুন। ক্ষমতায় গেলে এর ফিডব্যাক আপনাদের দেয়া হবে। আর এটা কেবল কথার কথা নয়। কারণ, দুর্গাপূজায় অস্থিরতা সৃষ্টি করলে বহির্বিশ্বে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। সেই সুযোগটাকে আমরা ইস্যু বানিয়ে আন্দোলনে নেমে সরকারের পতন ঘটাবো। আর এই স্বপ্নটার বাস্তব রূপদানে আপনাদেরকে ‘মরণ কামড়’ দিতে হবে। আশারাখি, আপনারা আমায় নিরাশ করবেন না।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়