ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ঢাবির উদ্যোগে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কর্মসূচি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ১০ এপ্রিল ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের অবস্থান যাতে আরও সুদৃঢ় হয় এবং স্নাতক শেষ করে শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পারে সে লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখতে সক্ষম যথোপযুক্ত দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ডিনস কমিটির সুপারিশ এবং একাডেমিক পরিষদের অনুমোদন অনুযায়ী সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের ভাষা দক্ষতা অর্জন ও তাদেরকে নিয়োগযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য এই ‘গ্র্যাজুয়েট প্রমোশন এন্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির অনুমোদনের বিষয়ে জানানো হয়।

গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগকে শিক্ষার্থীরা যুগান্তকারী বলে মনে করছেন একইসাথে এই আশংকা প্রকাশ করছেন বাস্তবায়ন কতটুকু হয় সেটা নিয়ে। যদি এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের স্কিল ডেভেলপ করার একটি বড় সুযোগ পাবে বলে আশা তাদের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ‘গ্র্যাজুয়েট প্রমোশন এণ্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্তঃসম্পর্ক ও আন্তঃসহযোগিতার জন্য সমঝোতা চুক্তি/ বিনিময় চুক্তি সম্পাদন করবে। শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজিসহ অন্য যে কোনো একটি আন্তর্জাতিক ভাষা শেখার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে। জাতীয়, আন্তর্জাতিক বা বহুজাতিক সরকারি, বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায়োগিক জ্ঞান শেখানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এতে আরো বলা হয়, একই কর্মসূচির আওতায় অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ নিজ নিজ অনুষদভুক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিয়ে কতিপয় মৌলিক, প্রাত্যহিক, প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক (যেমন- চালচলন, সৌজন্যবোধ, কর্পোরেট শিষ্টাচার, উপস্থাপনা, প্রযুক্তির ব্যবহার, ভাষার দক্ষতা প্রভৃতি) বিষয়ে মৌলিক নীতিমালা প্রণয়ন করে সেই আলোকে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে এক বা দুই সপ্তাহ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

এছাড়া, সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী ২৫ জন গবেষককে ডক্টর অব ফিলোসোফি (পিএইচ.ডি), ১ জন গবেষককে ডক্টর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (ডি.বি.এ) এবং ২২ জন গবেষককে মাস্টার্স অব ফিলোসোফি (এম.ফিল) ডিগ্রি প্রদান করা হয়। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়