ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় জগন্নাথের আত্মত্যাগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০০, ২০ অক্টোবর ২০২০  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

১৬১ বছরের পুরোনো ইতিহাস আর ১৫ বছরের গৌরবোজ্জল সাফল্যের সাক্ষী ঐতিহাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। পাঠাশালা থেকে স্কুল, কলেজ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নয়, উচ্চ শিক্ষায় এই প্রাচীণ বিদ্যাপিঠের অবদান ও ত্যাগ অসামান্য। 

১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা শুরু হলে জগন্নাথ কলেজের স্নাতক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গ্রন্থাগারের বই-পুস্তক, জার্নাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সাজাতে জগন্নাথ কলেজ গ্রন্থাগারের ৫০ ভাগ বই দান করা হয়। 

জগন্নাথ কলেজে আইএ আইএসসিবিএ (পাস) শ্রেণি ছাড়াও ইংরেজি, দর্শন ও সংস্কৃতি অনার্স এবং ইংরেজিতে মাস্টার্স চালু করা হলেও ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয়। শুধু তাই নয় জগন্নাথকে  ইন্টারমিডিয়েট কলেজে অবনমিত করা হয়। পুরান ঢাকার নারী শিক্ষায় বাঁধা দূর করতে ১৯৪২ সালে সহশিক্ষা চালু করা হয়। ১৯৪৮ সালে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে ১৯৪৯ সালে আবার এ কলেজে স্নাতক পাঠ্যক্রম শুরু হয়।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ রফিক উদ্দিন (ভাষা শহীদ রফিক) আত্মত্যাগ করেন। ১৯৬৩ সালে অধ্য সাইদুর রহমান পুনরায় কো-এডুকেশন চালু করেন। ১৯৬৮ সালে এটিকে সরকারিকরণ করা হয়, কিন্তু পরের বছরেই আবার এটি বেসরকারি মর্যাদা লাভ করে। ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এ কলেজের প্রশংসনীয় অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে কলেজে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। স্বাধীনতার পর ক্যাম্পাস থেকে একাধিক গণকবর আবিষ্কৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি’।

২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ বলে কলেজটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৬১ বছরের পুরোনো এই বিদ্যাপিঠ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়