ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ডেঙ্গু রোধে ডিএনসিসির আট এলাকায় অভিযান

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪২, ১৩ মে ২০২০  

ডেঙ্গু ও চিকুগুনিয়া থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। ভবন ও প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও চারপাশের নোংরা এবং মশা জন্মানোর পরিবেশ পাওয়ায় মালিকদের ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ডিএনসিসি ৮টি অঞ্চলের কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দিনব্যাপী এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন উত্তরা ১ নং ওয়ার্ডের সেক্টর-৭ ও সোনারগাঁ জনপথে এবং ওয়ার্ড-১৭ এর কুড়িল অম কুড়াতলীতে প্রায় ২০টি নির্মাণাধীন ভবন ও অফিস পরিদর্শন করেন। এ সময় চারটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। একইসঙ্গে তিনদিনের মধ্যে ওই স্থানের জমা পানি অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়।

অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শফিউল আজম মিরপুরে ১১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় একটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার পেলে ৫ হাজার জরিমানা করেন।

অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম ওয়ার্ড-২১ এর বাড্ডার ‘ক’ ব্লক ও মধ্যবাড্ডা এলাকায় ৮টি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ৫টি মামলায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। এছাড়া ৭টি প্রতিষ্ঠানকে এডিস মশার বংশবিস্তার সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়।

এদিকে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন ডিএনসিসির ৩১ নং ওয়ার্ডের আসাদ এভিনিউ এলাকায় ৯টি নির্মাণাধীন আবাসিক ভবনের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পরিদর্শন করে সন্তোষজনক পরিবেশ দেখতে পান। তবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একটি পরিত্যক্ত ভবন সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় তালাবন্ধ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য নোটিশ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়।

অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা-১৪ নং সেক্টরে প্রায় ৫০টি বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা পরিদর্শন করে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা হয়। এসময় ২টি নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় কিন্তু ভবন মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে তাদের নোটিশ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো ধ্বংস করা হয়।

অঞ্চল-৭ ও ৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী ৪৫ নং ওয়ার্ডের উত্তরখানের মাজার রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ১৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোনো জরিমানা করা হয়নি। এলাকাবাসীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জমা পানি ফেলে দেয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়।

অঞ্চল-৯ এবং ১০ এর ৩৭ ও ৪৩ নং বেশকিছু বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদ মিয়া। এ সময়ে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব ও জমা পানি ফেলে দেয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়, তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি।

এছাড়া ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসলিনা পারভীন গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকায় একাধিক নির্মাণাধীন ভবনে প্রচুর ময়লা আবর্জনা ও এডিস মশার প্রজননের পরিবেশ পাওয়ায় সেগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেন। অপরদিকে ২টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় তাদের ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলার সময় সব এলাকাতেই এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতন করা হয়। অভিযানের সময় সাংবাদিক, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্ট আগামীকালও অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়