ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

টাকার বিনিময়ে যেকোন অবৈধ কাজ করতে পারে তাজ হাশমি

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

তাজ হাশমি

তাজ হাশমি

বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষিত নারীদের সাথে প্রতারণা করার বাইরেও ভদ্রবেশী তাজ হাশমির বড় আয়ের উৎস পিএইচডি ডিগ্রি ও রিসার্চ পেপার জালিয়াতি। রেডিমেট রিসার্চ পেপারের জন্য কোনো শিক্ষার্থীই খালি হাতে ফেরেন না তার কাছ থেকে। মূলত টাকার বিনিময়ে এই কাজ করে থাকেন তিনি।

শিক্ষকতার মোড়কে আগাগোড়া এই দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক ইতিহাস, আধুনিক দক্ষিণ এশীয়বিষয়ক ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান পড়ান। টেনেসির ক্লার্কসভিলের অস্টিন পে স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নিরাপত্তা বিষয়েও পড়ান তিনি। এছাড়া কনটেম্পরারি সাউথ এশিয়া এবং জার্নাল অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য হওয়ায় খুব সহজেই এই জালিয়াতির কাজগুলো করতে পারেন তাজ হাশমি।

রিসার্চ পেপার ও তাজ হাশমির জালিয়াতি বানিজ্য নিয়ে আমাদের টিম অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, তাজ হাশমির কাছ থেকে এসব রিসার্চ পেপার মেলে খুব সহজেই। মৌলিক গবেষণাপত্র কপি করে নতুন থিসিসে রূপ দেন তিনি। যা শিক্ষার্থীর জাল গবেষণাপত্র তৈরি করতে সহযোগিতা করে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থিসিস ও রিসার্চ মনোগ্রাফ সরবরাহ করে থাকে তাজ হাশমি।

দক্ষিণ এশিয়ার অনেক শিক্ষার্থী পিএইচডি, রিসার্চ পেপারের জন্য তাজ হাশমির উপর নির্ভরশীল। মূল্য যেমনই হোক, পরিশ্রম কম এবং সহজেই পাওয়া যায় বলে শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত তার সাথে যোগাযোগ করে। যেখান থেকে মোটা অংকের টাকা আয় হয় তাজ হাশমির।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হাশমি স্যারের তৈরি করা থিসিস পেপার ধরার সাধ্য কোনো শিক্ষকের নেই। কিছু টাকা খরচ করে গবেষণাপত্র পেলে কে নিজে পরিশ্রম করবে।

এ ব্যাপারে বিশিষ্টজনরা বলেন, রিসার্চ পেপার জালিয়াতি একটি ফৌজদারি অপরাধ। যারা ক্রয় করছে এবং বিক্রয় করে তারা সমানভাবে অপরাধী। তাদের আইনের আওয়তায় আনা খুবই জরুরি। তাজ হাশমিসহ আরো যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া এখন সময়ের দাবি।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়