ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘জিডিপিতে ১.২ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি আনবে পদ্মা সেতু’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১৯ অক্টোবর ২০২০  

পদ্মা সেতু। ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু। ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রতি বছর প্রায় ১.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আনবে বলে মনে করছে চীন। এছাড়া পদ্মা সেতু উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে পরিবহন ব্যবস্থায় নাটকীয় উন্নতি ঘটাবে।

এক বার্তায় ঢাকার চীনা দূতাবাস আরো জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর আশপাশের অঞ্চলে উদ্বৃত্ত শ্রমের কর্মসংস্থান সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও অগ্রগতি হয়েছে। 

চীনা দূতাবাস আরো জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মহাসড়ক এবং রেলপথগুলো সংযুক্ত হলে একটি নতুন পরিবহন রুট তৈরি হবে। এতে উত্তর-দক্ষিণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং পর্যটন সম্পদের বিকাশ ও ব্যবহারে সহায়ক হবে। 

এছাড়া এটি উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে মানুষ এবং পণ্য পরিবহনের দক্ষতার নাটকীয় উন্নতি ঘটাবে। একইসঙ্গে স্থানীয়দের হাজার হাজার বছর ধরে ফেরি পরিবহনের ওপর নির্ভরতার সমাপ্তি ঘটবে। প্রাথমিক আনুমানিক হিসাব অনুসারে, এ সেতুটি প্রতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ১.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আসবে বলে বার্তায় জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের পদ্মা বহুমুখী সেতুটি রাজধানী ঢাকার প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পদ্মা নদী (গঙ্গা) জুড়ে ভারত মহাসাগর থেকে সরল রেখায় ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এ সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে মাওয়া ও জাজিরা সংযোগকারী প্রধান যানচলাচলের মহাসড়কে পরিণত হবে। 

চীনের বিখ্যাত চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তিবদ্ধ। এটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭.৭ কিলোমিটার। এতে মূলত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পদ্মা নদী জুড়ে মোট ৬,১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের মূল সেতু এবং দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস এবং বিমের মূল সেতু ও উভয় পাশে ৩৬৭৯ মিটার মোট দৈর্ঘ্যের সংযোগ সেতু। 

যুক্তরাষ্ট্রের এইসিওএম কোম্পানি পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন করেছে। সেতুটির নকশা ও নির্মাণ কাজে অনেকগুলো প্রযুক্তি বিশ্বের প্রথম এপ্লিকেশনস। যেগুলোর রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্মত প্রয়োজনীয় উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়