ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জামায়াতের নীতি-আদর্শের নামে ভণ্ডামির রাজনীতি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২৬ জুলাই ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশের রাজনীতিতে এখন জামায়াতের কোনো নামগন্ধ নেই। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সম্প্রতি একের পর এক নিজেদের ভোল পাল্টে দলত্যাগ করছেন। জামায়াতের নীতি-আদর্শের নামে যারা ভণ্ডামির রাজনীতি করে তাদের বয়কট করে একটি প্রভাবশালী অংশ নতুন রাজনৈতিক দলগুলোতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে দলটির অন্যতম সংগঠক আবু হেনা এরশাদ হোসেন জামায়াতকে রাজাকারের দল আখ্যা দিয়ে জন-আকাঙ্ক্ষায় যোগদান করেছেন। তিনি লালমনিরহাট-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কক্সবাজারের হোটেল কোস্টাল পিস মিলনায়তনে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের কর্মশালায় যোগ দেন তিনি। এ সময় আবু হেনা এরশাদ হোসেন জামায়াত থেকে পদত্যাগ করে জন-আকাঙ্ক্ষায় যুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।

তিনি বলেন, ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবসার পণ্য বানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটা খুবই দুঃখজনক যে ধর্মকে নিয়ে এই জামায়াত ব্যবসা করছে। এই দল মৃত্যুর পরের জীবনের কথা বলে দলের সাধারণ কর্মীদের থেকে বায়তুল মালের যে অর্থ সংগ্রহ করে তা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই না।

সাবেক এই জামায়াত নেতা আবু হেনা এরশাদ হোসেন আরো বলেন, জামায়াতের যে আদর্শ রয়েছে তা মওদুদী মতবাদ অনুসারে মানা হয়। মূলত মওদুদীবাদকেই জাহির করা দলটির মূল টার্গেট। যে ব্যক্তি নিজেই হাদিস নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন তাকে ইসলামের আদর্শিক নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করে জামায়াত। সব জেনে-বুঝে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মুসলমান জামায়াতের মতো দলে থাকতে পারবে না। আমি জামায়াতের ভণ্ডামি যেদিন বুঝতে পেরেছি সেদিনই দল ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জামায়াতের বিষয়ে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, জামায়াত স্বাধীন বাংলাদেশে এক অপরাজনীতি চালু করেছিল। এই দলটিতে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। তরুণদের চিন্তা ও চরিত্র ধ্বংস করতে এই রাজনৈতিক দলটিই বেশি দায়ী। বিশেষ করে দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার করে চলেছে দলটি। জামায়াতের ধর্ম ব্যবসা বর্তমান প্রজন্ম ধরে ফেলেছে বলেই দলটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়