ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা শুরু ৪ অক্টোবর

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৮, ২৯ আগস্ট ২০২৩  

জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা শুরু ৪ অক্টোবর

জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা শুরু ৪ অক্টোবর

দেশে প্রতিবছর আট হাজার নারীর জরায়ুমুখের ক্যান্সার শনাক্ত হচ্ছে। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত নতুন ও পুরনো রোগী মিলিয়ে বছরে ৫ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। প্রাণঘাতী এই রোগ প্রতিরোধে আগামী ৪ অক্টোবর টিকা দেওয়া শুরু করবে সরকার।

সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এস এম আবদুল্লাহ মুরাদ বলেন, ইপিআইয়ের মাধ্যমে সরকার এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রথমে ঢাকা বিভাগের চার সিটি করপোরেশন, সব জেলা এবং উপজেলাতে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে। এরপরের ধাপে সারা দেশে দেওয়া হবে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পঞ্চম-নবম শ্রেণির মেয়ে শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেওয়া হবে। স্কুলের বাইরে টিকা কেন্দ্রে ১০-১৪ বছরের মেয়ে শিশুদের এ টিকা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি থেকে ধাপে ধাপে টিকা পাওয়া যাবে। এর আগে ২০১৬ সালে গাজীপুরে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোরীদের বিনা মূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছিল।’  জানা যায়, ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী। বাল্যবিয়ে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। রোগটিকে আগেভাগে শনাক্তের জন্য দেশে ভিজ্যুয়াল ইন্সপেকশন অব দ্য সারভিক্স উইথ অ্যাসেটিক অ্যাসিড বা ভায়া পরীক্ষা চালু থাকলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ স্ক্রিনিং করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেশে ভায়া পরীক্ষার মাধ্যমে ২০ শতাংশ স্ক্রিনিং করা সম্ভব হয়েছে। যত বেশি স্ক্রিনিং হবে, তত বেশি রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে ওজিএসবির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার নির্মূলে ৯০-৭০-৯০ সংখ্যাটিকে অনুসরণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ ৯০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনা, ৭০ শতাংশকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা এবং ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের প্রতিরোধ ও ক্যান্সার পূর্ববর্তী চিকিৎসাব্যবস্থা নেওয়া। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বর্তমানে নারীদের ক্যান্সারে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি জরায়ু ক্যান্সারের কারণেই হয়ে থাকে। এই টিকা কার্যক্রমের ফলে দেশে জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার অনেকটা কমে যাবে।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়