ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

চৌদ্দগ্রামে একমাসে দশ হাজার রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৪, ৭ জুন ২০২০  

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একমাসে (১৫ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত) প্রায় দশ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। 

তারমধ্যে বহির্বিভাগে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার, জরুরি বিভাগে সাড়ে ৭শ’ এবং অন্তঃবিভাগে ৫৩০ জন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত সনাক্তকরণে ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। যার মধ্যে ৬ জনের রির্পোট নেগেটিভ ও একজনের পজেটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্ট এখানো আসেনি।
অপরদিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কালিকাপুর ইউনিয়নে ১০ শয্যা হাসপাতালটিকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। 

জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং উপজেলার ৪৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ জন চিকিৎসক, ২০ জন নার্স, ৪৪ জন হেলথপ্রোফাইডর সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে আগত রোগীদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। হাত ধুয়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। এছাড়া ফ্লু কর্নার করে জ্বর, সর্দি-কাশি রোগীদের আলাদা চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসিবুর রহমান জানান, ‘গত ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনায় ইউএনও মাসুদ রানাকে সভাপতি করে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পৌরসভা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন. করোনা সন্দেহে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ  করছি এবং উপজেলায় লাশ দাফন ও সৎকার কমিটির মাধ্যমে মৃতব্যক্তির দাফন প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। 

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সন্দেহজনক হলেই আমরা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দিতেছি। 

এরমধ্যে একজনের রির্পোটে পজেটিভ পাওয়া গেছে। তার বাড়িটি লকডাউন করে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ওই বাড়িতে ২৪টি পরিবার থাকেন। সন্দেহজনকদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে। 

সরকারিভাবে দেয়া পিপিই যথেষ্ট থাকলেও মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। আমরা সাধ্যানুযায়ী চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবো। জনগণকে সচেতন হয়ে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ঘরে থাকুন নিরাপদ থাকুন, আশেপাশের কেউ বিদেশ বা অন্য জেলা থেকে আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা আমাদেরকে জানান। মনে রাখবেন করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক আবিস্কৃত হয়নি, তাই ঘরে থাকাই একমাত্র ওষুধ এবং নিরাপদ।’ 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়