চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত চেয়ে আবেদন
নিউজ ডেস্ক
হাসপাতালে আসা সব ধরনের রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০ দফা নির্দেশনা ও অভিমত দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এ আবেদন দায়ের করে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
এর আগে সোমবার হাসপাতালে আসা সব ধরনের রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০ দফা নির্দেশনা ও অভিমত দিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. হাসপাতাল-ক্লিনিকে আসা রোগীদের ফেরত না পাঠানো সংক্রান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
২. ৫০ শয্যার বেশি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাধারণ রোগী বা করোনা রোগীদের কতজনকে কীভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তার প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
৩. ৫০ শয্যার বেশি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাধারণ রোগী বা করোনা রোগীদের কতজনকে কীভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তা স্বাস্থ্য বুলেটিনের মাধ্যমে তুলে ধরতে বলা হয়েছে।
৪. ৫০ শয্যার বেশি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাধারণ রোগী বা করোনা রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে মনিটরিং করে প্রতি ১৫ দিন পরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
৫. গুরুতর অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলে তা অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে বিবেচিত হবে। অবহেলাজনিত মৃত্যু ফৌজদারি অপরাধ। তাই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
৬. দেশে আইসিইউ বেড কতটি খালি আছে এবং কতটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে তা প্রতিদিন জানাতে বলা হয়েছে। আইসিইউর অতিরিক্ত চার্জ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৭. আইসিইউ বেড ব্যবস্থাপনার তথ্য করোনাকালীন হেল্পলাইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে তথ্য দিতে বলা হয়েছে এবং প্রতিদিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে সে তথ্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে।
৮. অক্সিজেনের মূল্য নির্ধারণ ও অতিরিক্ত মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৯. করোনাকালীন সময়ে প্রতি ১৫ দিন পরপর উপরোক্ত নির্দেশনা মেনে হাইকোর্ট রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
১০. পাশাপাশি এসব মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৩০ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে সাধারণ রোগীদের ফিরিয়ে না দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়। রিটে রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরত দেয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
রিটে স্বাস্থ্য সচিব, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং উপ-সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে করোনা বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ নিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে ঘুরে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে গত ১১ মে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আসা রোগীদের ফেরত না পাঠিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর।
- দুর্নীতিবাজ (অবঃ) কর্নেল শহীদকে সাধু বানানোর চেষ্টা কনক সারোয়ারের
- ভার্চ্যুয়াল কোর্টে ২৫ কার্যদিবসে ৫৩৬ শিশুর জামিন
- স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাবেন আইনজীবীরা
- সুপ্রিম কোর্টের চলতি বছরের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল
- ধর্ষণ মামলা আপস করার ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই
- হাসিনুর রহমানঃ ভূতের মুখে রাম রাম!
- হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ১৮ বিচারপতি
- রিজেন্ট হাসপাতালে প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ
- ভার্চুয়াল শুনানিতে ১৪৪ আসামির জামিন
- বিজিবির ১১৯ মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন স্থগিত