ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০০, ১৯ অক্টোবর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এ প্রতিপাদ্যে নিয়ে গতকাল সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেল-এর ৫৭তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল সকাল ৭টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের নেতৃত্বে সর্বস্তরের মানুষ শহীদ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।

পরে সকাল ৯টায় শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে জন্মদিনের কেক কাটা, আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন সকাল ৭টায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোঃ নূর-উর রহমান ও জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজের নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পরে সকাল ৯টায় সেখানে কেক কাটা, আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব,সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাকিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মহসিন মৃধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, এনডিসি চন্দন কর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রুহুল আমিন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিছুর রহমান খাঁন, জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ ফারুকুর রহমান ফয়সালসহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শেখ রাসেল  জন্মাবার সময় বাবাকে কাছে না পেলেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলের চির বিদায় হয়, তার পিতার সাথেই। সেদিনের সেই কাল রাত্রিতে ঘাতকরা একে একে পরিবারের আঠারো জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে, নিষ্পাপ শেখ রাসেলকেও সেইদিন খুনীরা রেহাই দেয়নি । তারা আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম নির্মম হত্যাকান্ডের নজির আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু হত্যাকান্ডের মধ্যেই শেষ নয়, এই হত্যাকান্ডের বিচার যেন বাংলাদেশের মাটিতে  কোনদিন না হয়, সেজন্য ’৭৫ এর সেই ঘাতক খুনীরা বাংলাদেশের সংবিধানকে কলংকিত করে ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল এবং সেই ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ ১৯৭৯ সালের পবিত্র জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য সেটা আইনে পরিণত করেছিলেন এবং সেই ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ ততদিন পর্যন্ত ছিল, সেই আইনটি বাংলাদেশে ‘কালো আইন’ আমাদের কলংকিত করেছিল, যতদিন পর্যন্ত না বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন, আবারো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত সেই কালো আইন বাংলাদেশে বলবৎ ছিল। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়