চলতি অর্থবছরে আরও ৪টি নতুন পণ্যে রপ্তানি প্রণোদনা

চলতি অর্থবছরে নতুন করে ৪টি পণ্য নগদ সহায়তার জন্য যুক্ত করেছে সরকার। এক শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে এসব পণ্যে। ফলে এই অর্থবছরে ৪২টি পণ্য ও খাত নগদ সহায়তার আওতায় এলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলারে এ বিষয় জানানো হয়। নতুন চারটি খাত বা পণ্যের মধ্যে রয়েছে, দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল ও এর পার্টস, এমএস স্টিল পণ্য এবং সিমেন্ট শিট।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত  জাহাজীকৃত সংশ্লিষ্ট পণ্য রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা, নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এছাড়া বিশেষায়িত অঞ্চলে (বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্ক) বিদ্যমান সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষায়িত অঞ্চলের সব ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এক শতাংশ হারে প্রণোদনার সহায়তা পাবে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত টাইপ-সি (শতভাগ দেশিয় মালিকানাধীন) শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সিনথেটিক ও ফেব্রিকসের মিশ্রণে তৈরি পাদুকা ও ব্যাগ এবং প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য; বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কে অবস্থিত টাইপ-সি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার; বাংলাদেশ রপ্তানিপ্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে অবস্থিত টাইপ-সি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বস্ত্রখাতে নতুন পণ্য/নতুন বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা এবং ইইউ, আমেরিকা ও কানাডায় রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত টাইপ-সি প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানির বিপরীতে ৪ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে। টাইপ-সি প্রতিষ্ঠান ও টাইপ-এ ও টাইপ-বি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রযোজ্য সুবিধা ব্যতীত বিশেষায়িত অঞ্চলের সকল ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির এক শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা পাবে। এক্ষেত্রে আবেদনপত্র দাখিল প্রক্রিয়া বিষয়ে পৃথক সার্কুলার জারির পর রপ্তানি প্রণোদনা আবেদনপত্র দাখিল করা যাবে।

সফটওয়্যার ও আইটিইএস সেবা রপ্তানির বিপরীতে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে ৪ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি প্রযোজ্য হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ স্বীকৃত অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অর্জিত আয় দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত হয়ে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের রপ্তানি ভর্তুকি প্রদান করতে হবে।