ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

গৌরবের ইতিহাসে চবির ‘স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২১ ডিসেম্বর ২০২০  

স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য

স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য

বঙ্গবন্ধুর হাতের উঁচু আঙুল যেন ৭ মার্চের ভাষণের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। মাতৃভাষা রক্ষায় তারুণ্যের সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার জন্য জীবন দানের দৃশ্যগুলো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের। বলছিলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যের’ কথা। 

দেশের গৌরবময় ইতিহাস প্রজন্মান্তর পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ইতিহাস স্মৃতিসংবলিত স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য’।

ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে অবস্থিত। খ্যাতিমান শিল্পী মুর্তজা বশির একক প্রচেষ্টায় ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়। যার মূলভিত্তি রচিত হয়েছে জাতীয় ফুল শাপলার ওপর। ৪টি আবাবিল পাখির প্রতীকী নির্মাণে তিনি ফুটে উঠেছে বাঙালি জাতির ৬ দফা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্রমধারা। পাখির ডানায় একুশটি পাথরের টুকরোয় লিপিবদ্ধ আছে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনের কাহিনী। ভাস্কর্যটির অপরূপ সৌন্দর্য ও কারুকার্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে অনায়াসে।

‘স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যের’ কাজ শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। ১৯৮৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। শিল্পী মুর্তজা বশির তখন চবির চারুকলা বিভাগে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এটি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করার কথা থাকলেও  স্বাধীনতাবিরোধীদের হুমকির মুখে এটি শেষ পর্যন্ত কলা অনুষদের সামনেই স্থাপন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহসিন আহমেদ। স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য নিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য গৌরবের। 
বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তারা আমাদের দেশের সূর্য সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। মুক্তিযুদ্ধ এবং গৌরবময় ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে ভূমিকা পালন করছে স্মারক ভাস্কর্য। সেসব ইতিহাস এবং ত্যাগের কথা তারুণ্যের আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা দিবে বলে আমার বিশ্বাস। 

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহেদ মামুন বলেন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যটি তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে বাঙ্গালীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা।

ভাস্কর্যটি চোখে পড়লে অজান্তেই মনটা যেন সেসব ইতিহাসের দিকে চলে যায়। অনুপ্রেরণা পাই এই ভেবে যে, আমাদের সোনালী ইতিহাস হেরে যাবার নই। আমরা চাইলেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সে দেশকে যেভাবেই হোক আমাদের সবাইকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়