ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গুগল দেবে বাংলাদেশের বন্যার পূর্বাভাস

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১২, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০  

গুগল দেবে বাংলাদেশে বন্যার পূর্বাভাস

গুগল দেবে বাংলাদেশে বন্যার পূর্বাভাস

ভারত এবং বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ দুটি বন্যাকবলিত অঞ্চল। এর মধ্যে ভারতের পাটনা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে। প্রাণ হারাতে হয় শতশত মানুষকে। এরই প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল বাংলাদেশের মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে।

মঙ্গলবার গুগল জানিয়েছে, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে রিয়েল টাইমে বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হবে।

প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের ৪০ মিলিয়ন মানুষ তাদের মোবাইলে গুগলের এই নোটিফিকেশন পাবেন। ধীরে ধীরে গোটা বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

                                                               বন্যার পূর্বাভাস দেবে গুগল

এই প্রথমবার কোম্পানিটি ভারতের বাইরে কোনো দেশে বন্যার পূর্বাভাস জানাবে। গুগল জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গেও চুক্তি করেছে।

তবে এই প্রজেক্টের জন্য গুগল একা কাজ করেনি। ভারতের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন, ইসরায়েল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সাহায্য করেছে। কোম্পানিটি এমন একটি ইলেকট্রনিক সেন্সর ইনস্টল করেছে, যেটি আপনা-আপনি পানি পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ডেটা সরবরাহ করে।

এর আগে, ২০১৮ সালে পাটনার মানুষের পাশে দাঁড়ায় গুগল। পৃথিবীর প্রথম কোনো অঞ্চলে তারা বন্যার পূর্বাভাস জানানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কোম্পানিটির আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মডেল পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের শতশত নদীর তথ্য সংগ্রহ করে পাটনার নদীগুলোর অবস্থা মনিটর করে সেখানকার মানুষকে সতর্ক করছে। এই প্রজেক্টের সফলতা মেলায় দুই বছরের মাথায় পুরো ভারতবাসীর জন্য বন্যার পূর্বাভাস জানার প্রযুক্তি যোগ করা হল।

গুগলের মুখপাত্র ইয়োসি মাতিয়াস বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা মানুষকে বন্যার গভীরতা সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছি: কখন এবং কীভাবে পানি বাড়তে পারে। ফ্ল্যাডপ্লানের মাধ্যমে আমরা ডেপথ ম্যাপ তৈরি করতে পারি। এর মাধ্যমে গ্রামের ব্যবহারকারীরা বন্যার তথ্য পাবেন।’

গুগল জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি আরও উন্নত করতে তারা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে।

বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে বাংলা, হিন্দিসহ মোট সাতটি ভাষায়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়