ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ, যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ১০ জুলাই ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গু বেশির ভাগ সময় সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ দিনেই মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে গর্ভবতী নারীরা ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা গর্ভস্থ শিশুর দেহে সংক্রমিত হতে পারে বা জন্মের সময় ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীর শিশুটির দেহে ডেঙ্গুর জীবাণু পৌঁছাতে পারে।

লক্ষণ

* সাধারণত উচ্চমাত্রার জ্বর, সারা দেহে হাড়ের মধ্যে ভয়ানক ব্যথা, মাথা ব্যথা, চোখের মণিতে ব্যথা থাকে।

হাড়ের মধ্যে ভয়াবহ ব্যথার জন্য এই জ্বরের অপর নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’।

* পেটে ব্যথা, এসিডিটি, বদহজম, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। গর্ভবতী নারী, শিশু, বৃদ্ধদের বেশির ভাগ সময় প্রাপ্তবয়স্ক একজনের তুলনায় খুব বেশি দুর্বল করে দেয়।

* দাঁতের মাড়ি, নাক বা মলমূত্রের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর অনেকের দেহে ব্রণের মতো লালচে র‌্যাশ বের হয়, যা খুব চুলকায়।

* অনেকের শ্বাসকষ্ট হয়। জ্বরের সঙ্গে টনসিলের ইনফেকশন, কাশি, বুকে ব্যথা থাকে।

* এই জ্বরে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। গর্ভবতী নারীদের হঠাৎ প্রস্রাবের পরিমাণ কমতে পারে, প্রচণ্ড পরিমাণে মাথা ঘোড়ায়। এই ধরনের অবস্থায় গর্ভস্থ শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে।

* গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অতিমাত্রায় বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামন্দা, চোখে ঝাপসা লাগতে পারে। গর্ভস্থ শিশু সাড়ে চার মাস থেকে ডেলিভারির আগ পর্যন্ত বাচ্চার নড়াচড়া কমতে পারে।

হঠাৎ খুব বেশি রক্তক্ষরণ হলে গর্ভস্থ শিশু মারা যেতে পারে। তবে ডেঙ্গু হলেই গর্ভস্থ শিশু মারা যাবে—এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

* ডেঙ্গুর পাশাপাশি নিউমোনিয়া, টনসিলে ইনফেকশনসহ বহুবিধ ইনফেকশন হতে পারে।

পরীক্ষা

জ্বর হওয়ার প্রথম দিনই ডেঙ্গু এন এস ওয়ান অ্যান্টিজেন, সিবিসি পরীক্ষা করাতে হবে। জ্বর চার-পাঁচ দিনের বেশি হলে ডেঙ্গু টেস্ট নেগেটিভ আসতে পারে। রক্তের জরুরি উপাদান প্লাটিলেট কমেছে কি না তা জানতে নিয়মিত সিবিসি পরীক্ষা করাতে হবে।

সচেতনতা

পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ভীষণ জরুরি। জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

প্রচুর পানি, তরল খাবার, হালকা টক ফল, ডাবের পানি ও ওরস্যালাইন নিয়মিত খেতে হবে। বাচ্চার নড়াচড়া খেয়াল করতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ বা রক্ত গ্রহণ করা যাবে না। নিয়মিত পানি পান করার পরও প্রস্রাবের মাত্রা কমে গেলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়