ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

খালেদাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ২৪ নভেম্বর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির দায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবাসে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতারা হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলো, আন্দোলনের মাধ্যমে দুই মাসের মধ্যে তারা খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করবে। তবে দুর্বল নেতৃত্বের কারণে আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে কিছুই করতে না পারলে শেষমেশ সরকারের অনুকম্পায় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে সরকারি হেফাজতে গুলশানের ফিরোজা নামক বাসায় ওঠেন বেগম জিয়া।

মূলত রাজনীতির সঙ্গে বিগত সাড়ে তিন বছর থেকে কোনো সম্পর্ক নেই বেগম জিয়ার। গুলশানে বাসায় অবরুদ্ধ হবার আগে কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতারা প্রেস কনফারেন্সে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার হুঙ্কার দিতো। গুলশানের বাসায় থাকার পরও এখন পর্যন্ত বিএনপির এক দফা দাবি ছিলো বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে বের করার। কিন্তু অবশেষে ব্যর্থ হয়ে কিংবা ষড়যন্ত্রের অংশ স্বরূপ বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি।

শুক্রবার ১৯ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর নয়পল্টন এলাকায় বিএনপির বিভিন্ন নেতারা খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা নিশ্চিতে ৭ ঘন্টা অনশনের ডাক দেয়। তবে অনশন শুরুর দুই ঘন্টার মধ্যেই সকল নেতা পুরি সিঙ্গারা খাওয়া শুরু করে। যা প্রমাণ করে, বিএনপি নেতারা হয়তো খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুতে খুব একটা সরব নয়। খালেদা জিয়ার জন্য মাত্র ৭টি ঘন্টা বিএনপি নেতাদের না খেয়ে থাকার ফলে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপি কি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে গিয়েছে কি না। অপরদিকে বিএনপির রুহুল কবির রিজভীপন্থী নেতারা অনশন কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে ভিন্ন একটি কর্মসূচি তৈরি করে। যা ছিলো, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কর্মসূচি।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ আরাফাত বলেন, ১৮ নভেম্বর বিএনপির একটি পক্ষ খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে মাঠে নামার হুঙ্কার দেয়। ১৯ নভেম্বর অন্য পক্ষ খালেদা জিয়াকে ভুলে গিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ডাক দেয়। বিষয়টি প্রমাণ করে, বিএনপিতে দুই নীতি বিদ্যমান। বিএনপির একটি পক্ষ খালেদা পন্থী। অপরপক্ষ তারেকপন্থী। এমন চলতে থাকলে, বিএনপির ক্ষমাতায় আসার স্বপ্ন কখনো বাস্তবে রূপ নেবে না।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়