ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সব প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ২৯ অক্টোবর ২০২০  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের প্রভাব মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুফল দেশের সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায় বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি উল্লেখ করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সকলকে আমি অনুরোধ করব যে স্বাস্থ্য সুরক্ষাটা মেনে চলতে। আবার নতুনভাবে এই প্রাদুর্ভাবটা দেখা গেছে ইউরোপে, ব্যাপকভাবে। ইউরোপে যখন আসে, এর ধাক্কাটা আমাদের দেশেও আসে। আমরা এখন থেকে প্রস্তুত। আমরা এখন থেকে তৈরি হচ্ছি, বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রতিটি জেলা হাসপাতালকে আমরা প্রস্তুত রাখছি।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিতদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এ বছর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, প্রয়াত কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ, প্রয়াত মুহম্মদ আনোয়ার পাশা ও আজিজুর রহমান, চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির, সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার, শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়