ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

করোনার ভ্যাকসিন নিয়েও মিথ্যাচার বিএনপির

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫২, ২৪ জানুয়ারি ২০২১  

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে জনগণকে রক্ষা করতে দেশে আনা হয়েছে ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন আসার আগে থেকেই মিথ্যাচার করছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে এই মিথ্যাচারকে দেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারি মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আনতে একটা লুটপাটের আয়োজন করছেন। কিন্তু তার কথা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা প্রমাণ হয়েছে। এরই মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যোগে মুম্বাই থেকে ২০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন ঢাকায় এসেছে। এসব ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে বিনামূল্যে উপহার দিয়েছে ভারত। সুতরাং যেখানে ভ্যাকসিনগুলো কিনতে টাকাই লাগেনি সেখানে লুটপাটের প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।

বিএনপির নেতাদের মিথ্যাচার থেমে নেই। তারা বলছেন, পাকিস্তানের মতো চীন থেকে সিনোভ্যাক নামক করোনার ভ্যাকসিন নিলে বেশি ভালো হতো। অথচ সিনোভ্যাক এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া দূরের কথা, নানা প্রতিবন্ধকতায় রয়েছে ভ্যাকসিনটি।

ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত তিন কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসছে। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে। প্রতিটি ধাপে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শনস্বরূপ ২০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার পাঠিয়েছে ভারত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নোংরা রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেদের দল ও দেশের মানুষকে বিপদের মুখে ফেলতে চাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে মিথ্যাচার এড়িয়ে চলা বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক। যেখানে করোনার ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছে গেছে সেখানে গুজব ছড়ানো খুবই দুঃখজনক। দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি প্রতিরোধে মিথ্যাচার পরিহার করা উচিত।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়