ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়িত হচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ২৪ জুলাই ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ৪র্থ দফা কঠোর লকডাউন বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সত্যিকার অর্থেই কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরী, চট্টগ্রাম জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন শহর যেন পুরোপুরি মানুষ ও যানবাহন শূন্য।

শহরে অলিগলিতে ওষুধের দোকান ছাড়া খুলেনি কোন দোকানপাট। বন্ধ রয়েছে গার্মেন্টস কারখানাসহ সব ধরনের শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্টান। এই কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করতে নগর ও জেলা শহরে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং র‌্যাব সদস্যরা। প্রতিটি মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শহর পুরোপুরি যানবাহন শূন্য। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু রিকশা ও জরুরি মেডিসিন পরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো ধরনের যানবাহন বা গণপরিবহন চলাচল করছে না। জরুরি সেবার আওতাভুক্ত কিছু যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো ধরনের যানবাহন সড়কে দেখা মেলেনি। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি, নতুন ব্রীজ, বাকলিয়া, অক্সিজেন, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, টাইগার পাস, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদ, বন্দর, ইপিজেডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন যানবাহন শূন্য চিত্র দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তারা যৌক্তিক কারণ ও পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে চলাচল করতে পারছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান বলেন, কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সকাল থেকে শহরজুড়ে দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরি সেবার আওতাভুক্ত ছাড়া কেউ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিবেন ম্যাজিট্রেটরা।

তাছাড়া নগরীর ৪টি প্রবেশ পয়েন্টে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে। চট্টগ্রাম নগরীর বাইরে জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও লকডাউন কঠোরভাবেই বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানা গেছে। জেলার রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, মিরসরাই, সীতাকুন্ড, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, পেকুয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, দোহাজারী প্রভৃতি উপজেলায় কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে।

এসব পিএবি, আরাকান রোডসহ উপজেলার সড়কগুলোকে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। ওষুধের দোকান ছাড়া কোনো ধরনের দোকানপাট খোলা নেই। এছাড়া সকাল থেকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি এবং শুক্রবার হওয়ায় উপজেলা পর্যায়েও সাধারণ মানুষের চলাচলও তেমন চোখে পড়েনি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়