ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এস কে সিনহার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়: আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ৯ নভেম্বর ২০২১  

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এস কে সিনহার রায়ে এটাই প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার কারাদণ্ডাদেশের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়া এ মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমিও আইনজীবী। তাই আমার জন্য এবং বিচার বিভাগের জন্য এটা সুখকর নয়।

এর আগে, ওই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে এই মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের ১৩ আগস্ট এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বিচারকার্য শুরু হয়। ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ বদলির আদেশ দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ঢাকায় সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযুক্ত বাকি দশ জন হলেন- এ কে এম শামীম, গাজী সালাহউদ্দিন, স্বপন কুমার রায়, মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মোহাম্মদ শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সাফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, রণজিৎ চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ও মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতি।

দুদক জানায়, তারা ফার্মার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ২ ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জনের ভুয়া নথি ব্যবহার করে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। পরবর্তীতে আত্মসাৎ করা টাকা বিচারপতি এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়