ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঈদের পর দাম কমেছে যেসব নিত্যপণ্যের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ২ জুন ২০২০  

ঈদের আগে দাম বেড়েছিল বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। এর মধ্যে- ব্রয়লার মুরগি, এলাচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মশুর ডাল ও চিনির দাম কমেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বংলাদেশে’র (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ানবাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যাম বাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভী বাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মীরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ঈদের পর সব থেকে বেশি ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। সোমবার ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে বলে টিসিবি জানিয়েছে। ঈদের আগে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় নেমেছে।

দাম কমার তালিকায় এর পরের স্থানেই রয়েছে আমদানি করা পেঁয়াজ। পণ্যটির দাম ২২ দশমিক ২২ শতাংশ কমে কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এ পণ্যটির দামও ১ জুন কমেছে।

আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি একইদিন কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশি ও আমদানি উভয় ধরনের রসুনের দাম কমেছে। দেশি রসুনের দাম ২০ দশমকি ৮৩ শতাংশ কমে কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ছিল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুনের দাম কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা হয়েছে। এ পণ্যের দামও ১ জুন কমেছে।

টিসিবি জানিয়েছে, ১ জুন দাম কমার তালিকায় আরো রয়েছে- আদা, মসুর ডাল ও চিনি। এর মধ্যে আমদানি করা আদার দাম কমেছে ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। বর্তমানে এই আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। আর দেশি আদার দাম ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

বড় দানার মসুর ডালের দাম কমেছে ৫ দশমিক ৮৮ শতংশ। ঈদের আগে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এই ডাল এখন ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চিনির দাম ঈদের পর ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

ঈদের পর দাম কমার তালিকায় রয়েছে মসলা পণ্য এলাচ। এ পণ্যটির দাম কমেছে ২৭ মে। ঈদের আগে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ছোট এলাচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। এ পণ্যটির দাম ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে বলে টিসিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছ।

এদিকে ঈদের পর ছোলা, ডিম ও আলুর দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ছোলার দাম ২৯ মে ৪ শতাংশ বেড়ে কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে। আলু ও ডিমের দাম বেড়েছে ২৭ মে। এর মধ্যে আলুর দাম ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ডিমের দাম ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়ে হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়