ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঈদ এলেই বাড়ে কদর

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ৪ জুলাই ২০২২  

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এখন থেকেই অনেকে পশু কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কামারশালার কাজ চলছে অবিরাম। কয়লায় আগুন ধরাতে হাপরের বিশ্রাম নেই। আর হাপরের পাশে জমছে পোড়া কয়লার স্তূপ। খদ্দেরের চাপ সামলাতে সেই কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারদের কর্মব্যস্ততা। কোরবানির ঈদ এলেই কামারদের কদর বাড়ে।

কোরবানির পশু কাটাকাটিতে প্রয়োজন হয়- ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই কয়লার চুলায় গরম লোহা পিটাপিটির টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কামারশালাগুলো। খদ্দেরের পছন্দ মতো তৈরি করছেন বিভিন্ন আকারের চাপাতি, গরু জবাই করা বড় ছুরি, চামড়া ছোলার ছোট ছুরি, দা, বটিসহ বিভিন্ন লোহার জিনিসপত্র। আবার অনেকে এসব কাজে ব্যবহৃত পুরোনো জিনিসগুলো ঝালিয়ে নিচ্ছেন। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের।

গাংনী শহরের সিনেমাহল পাড়া এলাকার আরজ আলী বলেন, প্রতি বছরই কোরবানির কাজে ব্যবহৃত দা, বটি, ছুরি শান দিয়ে থাকি। গত বছর একটি দা তৈরি করেছি। এবার আর নতুন করে তৈরি করতে হবে না। তবে এগুলো নতুন করে শান দিতে হয়েছে। কামারশালায় প্রচণ্ড ভিড়।

ছতিয়ান গ্রামের হজরত আলী বলেন, একটা করে দা তৈরি করে নিলাম। এতে খরচ হয়েছে ৩শ’ টাকা। এছাড়া ছুরি ও চাকু শান দিতে খরচ হয়েছে আরো ১শ’ টাকা।

গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের কারিগর (কামার) অমল কর্মকার ও বিমল কর্মকার বলেন, কোরবানির ঈদের সময় প্রচুর চাহিদা থাকায় আয় অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়। সেই কাকডাকা ভোরে উঠে কাজ শুরু করি। আর চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এখন দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরি করতে হচ্ছে বেশি। এছাড়া পুরোনো দা, বটি, ছুরি নতুন করে ঝালিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।

তেরাইল গ্রামের কামারশালার শুশীল কর্মকার ও জোড়পুকুরিয়া গ্রামের কামারশালার নেপাল কর্মকার জানান, কোরবানির এই কয়েকদিন আমাদের কাজ বেশি হয়। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ চলে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়