ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ইউপি নির্বাচনে শোচনীয় হারে অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ১৪ নভেম্বর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে শোচনীয় হারের পর থেকে অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত বিএনপির রাজনীতি। অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা এবং নির্দেশ অমান্য করার কারণে রাজনীতির ইতিহাসে বিতর্কিত হচ্ছে দলটির রাজনীতি।

কেবল মাত্র জিয়া পরিবারের লোকজন ছাড়া যেকোনো মুহূর্তেই যেকোনো নেতাই বহিষ্কার হতে পারেন এমন শঙ্কা ভর করেছে দলটির ভেতর। অনুসন্ধানে জানা যায়, দলটির সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিগত তিন বছরে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন কিংবা বিএনপি ছেড়ে অন্যদলে গিয়েছেন এমন নেতা-কর্মীর সংখ্যা দেড় লাখের উপরে। এই সংখ্যাকে একটি রেকর্ড বলে আখ্যায়িত করে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি দলের সাংগঠনিক শক্তিই হচ্ছে বড় শক্তি। অথচ বিএনপি যাকে তাকে যখন তখন দল থেকে বের করে দেয়। এছাড়া যোগ্য ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত মূল্যায়ন করে না, যার কারণে খানিকটা বাধ্য হয়েই দল ছেড়ে অন্যদলে চলে যায় বিএনপির নেতারা।

এদিকে গতকাল শনিবার ১৩ই নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বুঝতে হবে, আমরা অত্যন্ত কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছি। আশা করি, শক্তিশালী সংগঠনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা এখন আর বক্তব্যের মধ্যে থাকতে চাই না। কিছু কাজ করতে চাই। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে ডাইনামিক সংগঠনে পরিণত করতে হবে। কারণ এই সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই আমরা বারবার ধরা খাচ্ছি। বলতে দ্বিধা নেই, দলের মধ্যে সকলেই সবাইকে প্রধান নেতা মনে করেন। এমন ধারণা বাদ দিয়ে সকলকে আনুগত্য স্বীকার করে দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করতে হবে।

এসময় সভায় উপস্থিত থাকা বিএনপির এক কর্মী পেছন থেকে বলে ওঠেন, কিভাবে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করবেন? যেখানে দলে টিকে থাকার নিশ্চয়তা নেই, যেখানে যেকোনো মুহূর্তেই যে কাউকে আপনারা দল থেকে বের করে দেন!

বিএনপি কর্মীর করা প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দলের মহাসচিব হওয়া সত্ত্বেও দলের সব সিদ্ধান্ত আমি নেই না। আমি বহিষ্কার নীতিতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু লন্ডন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে, সে ক্ষেত্রে আমার আর কিছুই করার থাকে না। আপনারা বলছেন বহিষ্কার আতঙ্কের কথা, আর আমি বলছি, ‌‘শুধু আপনারা নয়, যেকোনো মুহূর্তে আমাকেও দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হতে পারে’।

মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যে সভায় উপস্থিত থাকা বিএনপির কর্মীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়ে যায়। অনেকে বলতে থাকেন, তবে কি এ দলে তারেক রহমান আর খালেদা জিয়া ছাড়া যে কেউই বহিষ্কার হতে পারেন। এমন চলতে থাকলে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকবে না।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়