ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

আবারও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন জাসিন্ডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১৮ অক্টোবর ২০২০  

জাসিন্ডা আর্ডার্ন

জাসিন্ডা আর্ডার্ন

নিউ জিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে সহজ জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেনের নেতৃত্বাধীন মধ্য বামপন্থী লেবার পার্টি। শনিবারের (১৭ অক্টোবর) ভোট গ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে দেশটির ১২০ আসনের পার্লামেন্টে ৬৪টিতেই জয় পেয়েছেন লেবার পার্টির প্রার্থীরা। ফলে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম বারের মতো দেশটিতে একক দলের সরকার গঠন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় আর্ডেনের ভূমিকাকে ভোটাররা পুরস্কৃত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিলম্বিত হয় এবারের নিউ জিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন। দীর্ঘ বিলম্বের পর শনিবার (১৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ চলে। মোট ১৭ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণ থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আসলে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা জাসিন্ডা ও ন্যাশনাল পার্টি প্রধান জুডিথ কলিন্সের মধ্যে।

ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে ১৯৯৬ সালে নিউ জিল্যান্ডে আনুপাতিক ভোট ব্যবস্থা চালুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন পাওয়া দলে পরিণত হয়েছে ৪০ বছর বয়সী জাসিন্ডার লেবার পার্টি। ফলে এবারই প্রথমবারের মতো একক দলের সরকার গঠন করতে পারবেন তিনি।

প্রথম মেয়াদে জাসিন্ডা আর্ডেনকে জাতীয়তাবাদী একটি দলের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হয়। সেকারণে এই মেয়াদে তার প্রতিশ্রুত বেশ কয়েকটি প্রগতিশীল পরিবর্তন আনতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তাকে। তবে এবারের নির্বাচনে একক দলের সরকার গঠনের মতো সমর্থন পাওয়ায় তা অতিক্রম করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর অকল্যান্ডের নিজ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন জাসিন্ডা আর্ডেন। সমবেত সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ানোর পাশাপাশি অনেককে জড়িয়ে ধরেন তিনি।

অপরদিকে ইতোমধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন বিরোধী ন্যাশনাল পার্টির নেতা জুডিথ কলিন্স। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেনকে ফোন করে আমি অভিনন্দন জানিয়েছি, কারণ আমার বিশ্বাস এটা লেবার পার্টির অসামান্য ফলাফল।

নিউ জিল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইতোমেধ্যে গণনা শেষ হওয়া ৭৭ শতাংশ ব্যালটের মধ্যে লেবার পার্টি পেয়েছে ৪৯ শতাংশ ভোট। অপর দিকে ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ২৭ শতাংশ ভোট। লেবার পার্টির নেতা ও অর্থমন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে কোভিড মোকাবিলা করেছি তাতে জনগণ খুবই খুশি এবং কৃতজ্ঞ, এখান থেকে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার যে পরিকল্পনা আমরা করেছি তার ধরণ তারা পছন্দ করেছে।’

উল্লেখ্য, জাসিন্ডার বর্তমান জোট সহযোগী জাতীয়তাবাদী ফার্স্ট পার্টি পেয়েছে ২.৬ শতাংশ এবং গ্রিন পার্টি ৭.৬ শতাংশ ভোট। কোনও কারণে জাসিন্ডা যদি কেবল লেবার পার্টির সরকার গঠনে ব্যর্থ হন তাহলে আশা করা হচ্ছে তিনি গ্রিন পার্টির ওপর ভরসা করবেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়