ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আপন জুয়েলার্সের সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২২, ১০ অক্টোবর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেন সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই অভিযোগপত্র আমলে নেন। একইসঙ্গে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, আসামি দিলদার হোসেন আদালতে উপস্থিত হন। এরপর তার উপস্থিতি আদালত অভিযোগ পত্র আমলে গ্রহণ করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৭ এ বদলি করেন। একইসঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

২০১৭ সালের ১২ আগস্ট চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ সোনা ও হীরা জব্দ করে। এ ঘটনায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে দিলদার হোসেন সেলিমকে আসামি করে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার অভিযোগ পত্রে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি বৈধভাবে তার মেসার্স আপন জুয়েলার্সের নামে প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ সংগ্রহ ও মজুদ করেনি৷ এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তৃক এরূপ পণ্য আমদানি করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি, বা অনুমোদনের জন্যও প্রতিষ্ঠানটি আবেদন করেনি।

দি কাস্টমস আইন , ১৯৯৯ এ ধারা- ১৮ , ৭৮ , ৮০ অনু্যায়ী কাস্টমস বিভাগ কর্তৃক শুল্কায়নের মাধ্যমে দেশে আমদানি হয়নি। আটককৃত স্বর্ণ, স্বর্ণবার ও ডায়মন্ড, ডায়মন্ড অলংকার ইত্যাদি স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত মর্মে কোন প্রমাণাদি প্রদর্শিত না হওয়া এটা প্রমাণিত হয় যে, দি কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ ধারা ২ (এস) এর দফা (বি) ও (ডি) অনুযায়ী চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধভাবে আহরিত। উক্ত চোরাচালানকৃত পণ্যমূল্যের বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে বিদ্যমান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিদেশে পাচার করেছে।

ফলে আসামি 'দেশী ও বিদেশী মুদ্রা পাচার এবং  'চোরাচালান ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধ' সংগঠনের মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মুদ্রা প্রেরণ ও চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে লাভবান হয়েছে। ফলে আসামি ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হয়েছে, যা অপরাধলব্ধ অর্থ হিসেবে গণ্য।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়