আন্দোলনের নামে সহিংস রাজনীতির পথে যাত্রা করলো বিএনপি

আবারো নিজেদের সহিংস কার্যকলাপের পুনরাবৃত্তি ঘটাল বিএনপি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল সরকারকে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই আন্দোলনের নামে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে দলটি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ঘটনা অতীতেও বিএনপি বহুবার ঘটিয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি। ক্ষয়িষ্ণু এ রাজনৈতিক দলটি কোনোভাবেই জ্বালাও-পোড়াও ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বের হতে পারছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ভিন্নরূপ দিতে নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা অনুযায়ী বিএনপি তার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে নির্দেশনা দেয়। লন্ডনে পলাতক আসামি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদেরকে যেকোনো মূল্যেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার নির্দেশ প্রদান করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে বলেন। তারেকের কর্মীরাও সে অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে।

সূত্রটি আরো জানায়, তারেক রহমানের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য কোনো প্রকার অনুমতি নেয়নি ছাত্রদল। পুলিশ বিষয়টি তাদের জানালে তৎক্ষণাৎ পুলিশের ওপর চড়াও হয়।

শাহবাগ থানার পুলিশ কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আগে থেকে এ ধরনের সমাবেশের কথা আমরা শুনিনি। শনিবার রাতে হঠাৎ করে তারা সমাবেশ ডাকে। সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে জড়ো হতে থাকে। প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এখানে সমাবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু তাদের অনুমতি ছিল না।

তিনি আরো বলেন, আমরা সকালেও তাদের অনুমতি নিতে বলেছি। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করে এবং প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইটের টুকরা ছোড়ে। এরপরই মূলত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, এ ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান এসব ঘটনার কলকাঠি নাড়ছেন। দেশ ও দশের ভালো তার কোনোদিনই সহ্য হয়নি। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে, বহির্বিশ্বে সরকারপ্রধানের নিপুণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের জয়জয়কার। এসব দেখে গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে তারেকের। আর এ কারণে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সহিংস রূপে ফিরেছে বিএনপি।