ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

আন্দোলনকারী কৃষকদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ মোদি সরকারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১১, ২ ডিসেম্বর ২০২০  

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

টানা পঞ্চম দিনের মত বিতর্কিত নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে ভারতের কৃষকেরা। চলমান এই আন্দোলন ঠেকাতে আন্দোলনরত কৃষকদের আলোচনার বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির সরকার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বজ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সঞ্জয় আগারওয়াল ৩২টি কৃষক সংগঠনের কাছে পাঠানো চিঠিতে মঙ্গলবার সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিরোধী দলের চরম আপত্তির পরও কৃষিসংস্কার নিয়ে তিনটি বিল ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিল তিনটি সই করলে সেগুলো আইনে পরিণত হয়।

ওই তিনটি আইনের একটির অধীনে সরকার ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনা বন্ধ করে দিতে পারবে। যার ফলে পাইকারি বাজারে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।

তাদের ভয়, ওই আইনের ফলে ফসলের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বড় বড় ব্যবসায়ী ও কোম্পানির হাতে চলে যাবে, কৃষকদের হাতে কোনো ক্ষমতাই থাকবে না। তাই তারা ওই আইনগুলো বাতিলের দাবিতে রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। নগরীর প্রবেশ পথগুলো অবরোধ করে রেখেছেন তারা।

এর আগে আন্দোলনরত কৃষকদের ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু প্রবল ঠাণ্ডা ও করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় আলোচনার দিন এগিয়ে আনা হয়েছে বলে ভারতের কৃষি ও খামার উন্নয়ন মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমার জানিয়েছেন। 

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর আলোচনার পরই বৈঠকের দিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়।

কিন্তু কৃষক আন্দোলনের নেতাদের দাবি, কয়েকটি নয় বরং দেশের সব কৃষক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসুক সরকার। ভারতজুড়ে ৫০০টিরও বেশি কৃষক সংগঠন আছে বলে জানিয়েছেন তারা।

শুরুতে সরকার পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেছিল। পরে শক্তি প্রয়োগের পথ থেকে সরে আসে। এরপর কৃষকদের বিক্ষোভ দেখাতে দিল্লির বুবারির মাঠে যেতে বলা হলে আন্দোলনকারীরা তা অগ্রাহ্য করেন।

পাঁচ দিন ধরে প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছেন তারা। সোমবার গভীর রাতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়