ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা গুনবীকে কারাগারে প্রেরণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০২, ২৬ জুলাই ২০২১  

মাহমুদুল হাসান গুনবী

মাহমুদুল হাসান গুনবী

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা’ মাহমুদুল হাসান গুনবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রাজধানীর শাহ আলী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা যায়। আদালত সূত্র জানায়, শনিবার রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ।

গত ১৭ জুলাই আসামি গুনবীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৬ জুলাই রাজধানীর শাহ আলী থানার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা গুনবীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।

তখন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘মাহমুদ হাসান গুনবী আনসার আল ইসলামের দাওয়াত ও প্রশিক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রয়েছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি মাদরাসায় খণ্ডকালীন, অতিথি বক্তা বা দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষকতা ও পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি মাদরাসাগুলোতে উগ্রবাদী বক্তব্য প্রদান ও একইসঙ্গে উগ্রবাদী বইয়ের বিস্তারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আগ্রহী করে তোলেন।’

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গুনবী মূলত একজন দর্শন পরিবর্তনকারীর ভূমিকা পালন করে থাকেন। দর্শন পরিবর্তনের কৌশল সম্পর্কে গ্রেফতার গুনবী জানান, বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে গোপন আস্তানায় তিনি প্রশিক্ষণ দেন। যেখানে প্রশিক্ষণার্থীরা আত্মীয়-স্বজন, পরিবার বন্ধু-বান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন। প্রশিক্ষণার্থীদের বাইরের জীবন, সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান ইত্যাদি থেকে দূরে রাখা হয়। এরপর তাদের মস্তিষ্কে ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ভয়ভীতি তৈরি ও স্বাভাবিক জীবন সম্পর্কে বিতৃষ্ণা জাগ্রত করা হয়ে থাকে। ফলে প্রশিক্ষণার্থীদের ভেতর আবেগ, অনুভূতি, বুদ্ধিমত্তা, পারিবারিক বন্ধন, বিচারিক জ্ঞান ইত্যাদি লোপ পায়। এভাবে কোমলমতিদের নৃশংস জঙ্গি হিসেবে গড়ে তোলা হয়।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়