ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আজ রাতে প্রতিঘণ্টায় আকাশ থেকে পড়বে ১২০ উল্কা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২  

আজ রাতে প্রতিঘণ্টায় আকাশ থেকে পড়বে ১২০ উল্কা

আজ রাতে প্রতিঘণ্টায় আকাশ থেকে পড়বে ১২০ উল্কা

আকাশ থেকে উল্কা বৃষ্টি দেখার সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবীবাসী। আজ বৃহস্পতিবার রাতেই এ রকমই মহাজাগতিক ঘটনা দেখা যাবে। এদিন রাতে আকাশ থেকে প্রতিঘণ্টায় আতশবাজির মতো খসে পড়বে ১২০টি উল্কা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ঐ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকতে হবে। 

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উল্কার বৃষ্টি (জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার) চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকেই শুরু হয়েছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দাবি, ৩২০০ ফায়থন নামে এক পাথুরে গ্রহাণু থেকে জেমিনিড এসেছে। ফায়থন কোন গ্রহাণুর বিচ্ছিন্ন অংশ যা সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণের সময় ধুলা হয়ে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের টানে খুব কাছে এসে পড়লে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে আগুন জ্বলে ওঠে।

নাসা বলছে, জেমিনিড উল্কা বৃষ্টি সারা আকাশজুড়ে আলো ছড়ায়। উত্তর পূর্ব আকাশের জেমিনি নক্ষত্র পুঞ্জের কাছ থেকে ছুটে আসে এ উল্কারা। তাই এর নাম ‘জেমিনিড’। গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৮ হাজার মাইল বা সেকেণ্ডে ৩৫ কিলোমিটার। দৃশ্যমানতা ভালো থাকলে, মেঘের বাধা না থাকলে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৬০টি উল্কাবৃষ্টি দেখা যেতে পারে। এ উল্কাবৃষ্টি চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বৃষ্টি খুব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে যদি টেলিস্কোপ বা দূরবীন ব্যবহার করা যায়।

সৌরমণ্ডলের বাইরে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত কুইপার বেল্ট। যেখানে ধুলা আর গ্যাসের ঘনত্ব খুব কম। পাথর আর বরফের টুকরোয় ভরা এ কুইপার বেল্টের মধ্যেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে ধূমকেতুরা। বছরে একবার সূর্যকে সালাম জানাতে আসে তারা। তখনই সূর্যের তেজে এদের শরীরের কিছু অংশ উল্কা হয়ে পৃথিবীতে ঝরে পড়ে।

গত মাসে পৃথিবীতে এসেছিলো ‘ লিওনেড’। সে ‘টেম্পল টাটল’ নামে ধূমকেতুর অংশ। যে আবার ঐ সুদূর ‘কুইপার বেল্টের’ বাসিন্দা। প্রতি ৩৩ বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে যায়। আর সূর্যকে প্রদক্ষিণের সময় প্রচণ্ড উত্তাপে ধূমকেতুর মাথার খানিকটা অংশ ছিটকে বেরিয়ে উল্কা হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়