ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে মামুনুল হকের বর্বরতার শেষ কোথায়?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ৯ মে ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মামুনুল হকের কয়েক’শ অনুসারী প্রথমে গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র দাস, কাজল চন্দ্র দাস, সুনু রঞ্জন দাস, কাজল চন্দ্র দাস, অনিল কান্তি দাসসহ গ্রামের সাতজন মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘরে হামলা করে। মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্রের পাকা ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে প্রবেশ করে সব কিছু তছনছ করে। এ সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলে হামলাকারীরা আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে খিস্তি-খেউড় করে। মুক্তিযোদ্ধাদের মালাউন আখ্যায়িত করে তাদের বাড়িঘর ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপরে একে একে গ্রামের ৮৮টি ঘরে হামলা ও লুটপাট করে তারা। চারটি পারিবারিক মন্দির ভাঙচুর করে।

মামুনুলের এই সকল অপকর্মের প্রধান মদদদাতা হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। পাকিস্তান হাই কমিশনের কাছ থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন করে দেশে ভারতবিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত এই হেফাজত নেতা। আর তার প্রধান সঙ্গী পাকিস্তানের আস্থাভাজন বন্ধু মামুনুল হক।

নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ইসলামকে ব্যবহার করে মুলিম জাহানকে সারা বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে বার বার সাম্প্রদায়িক এমন নেক্কারজনক হামলায় একজন মুসলিম হিসাবে এমন ঘটনায় সকলেই লজ্জিত।

গতবছর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বার্ষিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ না করে অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করে সে নিজ দল ও সমর্থকদের কাছে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মামুনুল হক সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়ে সবশেষে অনুমতি প্রাপ্ত হন। অথচ, এই মামুনুল হকই সরকার এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষদগার করে বেড়াচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার কোন ঠাঁয় হতে পারেনা।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়