ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

অবশেষে ময়মনসিংহে হচ্ছে শিশু হাসপাতাল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ১৫ অক্টোবর ২০২০  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ময়মনসিংহ শহরে জমি বরাদ্দ না পাওয়ায় শিশু হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত চলে যাওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তিন বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে সব শঙ্কার অবসান করে হাসপাতালের জন্য চূড়ান্তভাবে ভূমি বরাদ্দ মিলেছে।

সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম জানান, ময়মনসিংহ মহানগরের মাসকান্দা বাইপাস সংলগ্ন ছত্রপুর মৌজায় তিন একর জমি প্রশাসনিকভাবে অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১৯ কোটি ৪২ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয় হবে। গত সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ শাহাদত খন্দকার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে প্রশাসনিকভাবে এ কাজের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ২০০ শয্যার হবে হাসপাতালটি। পর্যায়ক্রমে এটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত হাসপাতাল নির্মাণে কাজ শুরু করা হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ময়মনসিংহ সিটি এলাকায় একটি শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করার জন্য ৩০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অর্থ বরাদ্দের অন্যতম শর্ত ছিল হাসপাতালটি সিটির প্রধান সড়কের পাশে কমপক্ষে এক একর জায়গায় নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু শহরের ভেতরে স্থান নির্ধারণে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়ায় এতদিন ধরে শিশু হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি।

অর্থ বরাদ্দ পেলেও উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করতে না পারায় শিশু হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে শহরের সুশীল সমাজের নাগরিকসহ সর্বস্তরের মানুষ একাধিকবার মানববন্ধনও করেছিলেন। সেই সঙ্গে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ৫ দফা দাবিতে ময়মনসিংহ ডিসির কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ ছিল- প্রয়োজনীয় ভূমি বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রস্তাবিত শিশু হাসপাতালটি নির্মাণের কাজ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাদের অন্য দাবির মধ্যে ছিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা; শহরে পৃথক ৫০০ শয্যার একটি জেনারেল হাসপাতাল করা; বক্ষব্যাধি রোগীদের জন্য ৫০০ শয্যার একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয় মাস আগে উদ্বোধন করা ক্যাথল্যাবটি অবিলম্বে চালু করা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ শাখার আহ্বায়ক ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল বলেন, শিশু হাসপাতালের স্থান নির্ধারণে দেরি হলেও জটিলতার অবসান হয়েছে এটি সন্তোষজনক। এখন আর কালক্ষেপণ না করে জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং গণপূর্ত বিভাগকে সমন্বয় করে দ্রুত কাজ শুরুর আহ্বান জানান তিনি।

ডিসি মিজানুর রহমান বলেন, নির্মাণকাজ শেষে হাসপাতালটি চালু হলে ময়মনসিংহ অঞ্চলের শিশুদের আরো দ্রুত ও উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। এতে শিশু মৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়