ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অনার্স ও মাস্টার্স কারিকুলামে পরিবর্তন নিয়ে আসছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২১, ১২ জুলাই ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নতুন মাত্রা পাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, পরিবর্তন আসছে কারিকুলামে। অনার্স ও মাস্টার্সে চাকরির বাজারের সঙ্গে মিল রেখে কীভাবে কর্মমুখী কোর্স চালু করা যায় সেসব নিয়েই ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের অনার্স বা তিন বছরের কোর্সের সঙ্গে টেকনিক্যাল অথবা জব ওরিয়েন্টেড সাবজেক্টের একটি পুল অব কোর্স সংযুক্ত থাকবে। এসবের সঙ্গে থাকবে কর্মমুখী ও বৃত্তিমূলক কোর্স।

জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বিষয়ে গত ১ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী, সচিব, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মাউশির ডিজি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্যসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আলাপ-আলোচনা শেষে কারিকুলাম তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক হলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। সদস্য সচিব হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেন।

এছাড়াও কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল, বুয়েট, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) একজন করে প্রতিনিধি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়), মাউশি ও কারিগরি অধিদফতরের ডিজি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ডিন সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেন বলেন, আমরা দুটি মিটিং করেছি। ডিনদের ফিজিবিলিটি যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা যাবে। আপাতত এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।

কমিটির সদস্য ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম রিভাইস করা হচ্ছে। তাতে কয়েকটি কোর কোর্স এবং কয়েকটি অপশনাল কোর্স থাকবে। চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স বা তিন বছরের কোর্সে শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ে পড়বেন, সেটির সঙ্গে টেকনিক্যাল অথবা জব ওরিয়েন্টেড সাবজেক্টের একটি পুল অব কোর্স সংযুক্ত থাকবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্সে ট্র্যাডিশনাল (গতানুগতিক) কোর্স পড়ানো হয়। তাই কর্মমুখী ও চাহিদা ভিত্তিক কোর্স পড়ানো দরকার। যাতে চাকরির বাজার এবং চাহিদার সঙ্গে মিল থাকে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের সিলেবাসে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা যায় কিনা এর সম্ভাব্যতা যাচাই করা দরকার।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. মশিউর রহমান ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমরাতো এমনিতেই সময়ে সময়ে কারিকুলাম রিভিউ করি, এবার সেটিকে আরো সিরিয়াসলি করার চিন্তা করছি। এটা নিয়ে কিছু কমিটি কাজ করছে। আমরা কয়েকটি শর্ট কোর্স এবং ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার একদম প্রাথমিক চিন্তা করছি। এটার এখনো চূড়ান্ত কোনো হয়নি। এই শর্ট কোর্সগুলো আমরা অনার্স লেভেলে দিতে পারি না, এগুলোতে অনার্স বা ডিগ্রি শেষ করা শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। 

তিনি আরো বলেন, শর্ট কোর্সগুলো হবে আধুনিক ও কর্মমুখী। যেমন- আইসিটি, মিউজিক, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড ইনোভেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং বা কোনো ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স ইত্যাদি কোর্স হতে পারে। এটার জন্য ১৫ সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে একটি মিটিং হয়েছে আরো একটি হবে। আমাদের এসব কোর্স চালু করতে পুরে প্রস্তুতি নিয়ে এগুতে হবে৷ পরবর্তীতে কিভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে এবং পাঠদান কিভাবে হবে সেটি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভেবেচিন্তে করতে হবে। আমরা একটু সময় নিয়ে কাজ এগিয়ে নিবো।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়